লকডাউনে স্তব্ধ মুম্বই। ছবি: এএফপি
করোনা রুখতে লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু এই মুহূর্তে দেশে কী অবস্থায় রয়েছে করোনা সংক্রমণ? তার ছড়িয়ে পড়ার গতিই বা কতটা মারাত্মক? কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যে হিসাব পাওয়া যাচ্ছে তাতে দেশের ২৮৪টি জেলায় করোনা ছড়িয়েছে। ২৩ মার্চ থেকে ৮ এপ্রিল, এই ১৫ দিন সময়সীমার মধ্যে খানিকটা লাফ দিয়েছে করোনা।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, ৮ এপ্রিলের মধ্যে দেশের মধ্যে অন্তত ২৮৪টি জেলায়, অন্তত ১ জন করে হলেও করোনা রোগী রয়েছেন। অথচ এর মাত্র ১৫ দিন আগে অর্থাৎ গত ২৩ মার্চ, করোনা রোগী রয়েছে, দেশে এমন জেলার সংখ্যা ছিল মাত্র ৮৪টি।
কয়েকটি উদাহরণ দিলেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। ৮ এপ্রিল দক্ষিণ দিল্লিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩১৬-তে পৌঁছেছে। ওই সময় মুম্বইয়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা হযেছে ২৭৮। কাসরগোড জেলায় সংক্রমণের শিকার হয়েছেন ১২১ জন। ইনদওরে ৮ এপ্রিলের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১১০ জন। অথচ তার ১৫ দিন আগে ওই সব এলাকায় সংক্রমণের সংখ্যা প্রায় ছিলই না।
দেশের কোন কোন জেলায় রয়েছে করোনা রোগী।
আরও পড়ুন: হাওড়া হাসপাতালের সুপারের করোনা পজিটিভ, কয়েক জন শীর্ষকর্তাও গৃহ পর্যবেক্ষণে
হটস্পট অর্থাৎ যেখান থেকে রোগ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমন পরিস্থিতি মোকাবিলায় গোটা দেশ জুড়েই মডেল হয়ে উঠেছে রাজস্থানের ভিলওয়াড়া। এই এলাকাগুলিতে করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলা করাই এখন প্রশাসনের কাছে চ্যালেঞ্জ।
আরও পড়ুন: জনহীন পুরীর সৈকতে মনের আনন্দে ছুটে বেড়াচ্ছে হরিণ! সত্যি না মিথ্যে
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)