National News

চেন্নাই-সহ তামিলনাড়ুর ৫ শহরে লকডাউন আরও কড়া, জানালেন পলানীস্বামী

আক্রান্তের নিরিখে দেশের মধ্যে ছ’নম্বরে রয়েছে তামিলনাড়ু।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

চেন্নাই শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২০ ২১:৩০
Share:

করোনার গতিকে রুখতে অবশেষে আরও কড়া পদক্ষেপ বেছে নিল তামিলনাড়ু। ছবি: টুইটার।

করোনা-সংক্রমণ রুখতে আরও নিশ্ছিদ্র লকডাউনের পথে তামিলনাড়ু। আগামী রবিবার থেকে রাজ্যের পাঁচটি শহরে দিন প্রতি মোট ১৫ ঘণ্টা করে বাড়ির বাইরে বেরনোয় পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা জারি করল ই কে পলানীস্বামী সরকার। চেন্নাই-সহ তিনটি শহরে এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে চার দিন। অন্য দিকে, দু’টি শহরে তা তিন দিনের জন্য কার্যকরী হবে। শুক্রবার এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ই কে পলানীস্বামী

Advertisement

করোনা-সংক্রমণে রাশ টানতে এর আগেই রাতারাতি করোনা সংক্রান্ত পরীক্ষা ব্যবস্থা আরও বাড়িয়েছিল তামিলনাড়ু সরকার। তা সত্ত্বেও আক্রান্তের নিরিখে দেশের মধ্যে ছ’নম্বরে রয়েছে ওই রাজ্য। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ দিন ওই রাজ্যে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৮৩। ইতিমধ্যেই সেখানে মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। রাজ্য সরকারের উদ্বেগ বাড়িয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ওই রাজ্যে আরও ৫৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। করোনার গতিকে রুখতে অবশেষে আরও কড়া পদক্ষেপ বেছে নিল তামিলনাড়ু।

চেন্নাই, মাদুরাই, কোয়ম্বত্তূর, সালেম এবং তিরুপুরের মতো তামিলনাড়ুর যে পাঁচটি শহরে মূলত সংক্রমণের হার বেশি, তাতে সামাজিক দূরত্বের মাত্রা আরও তীব্র করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। কারণ, রাজ্যে আক্রান্তের ৪০০টি কেসই হয়েছে চেন্নাইতে। অন্য দিকে, কোয়ম্বত্তূরে ১৩৪ এবং তিরুপুরে ১১০ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ ঘটেছে। গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এ দিন মুখ্যমন্ত্রী পলানীস্বামী জানিয়েছেন, রবিবার থেকে বুধবার— এই চার দিনের জন্য চেন্নাই, মাদুরাই এবং কোয়ম্বত্তূরে সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে পুরোপুরি লকডাউন। ওই সময়ের মধ্যে বাড়ির বাইরে পা রাখতে পারবেন না রাজ্যবাসী। অন্য দিকে, তিরুপুর ও সালেমে এ ব্যবস্থা বলবৎ থাকবে তিন দিন— রবিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত।

Advertisement

আরও পড়ুন: রাজ্যে ৫৭ করোনা আক্রান্তের মৃত্যু, তবে করোনার কারণেই মৃত ১৮: নবান্ন

রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, ওই পাঁচটি শহরে লকডাউন চলাকালীন দোকানপাট করা, মুদিখানায় যাওয়া বা অন্য কোনও কাজের জন্যও বাড়ির বাইরে যেতে পারবেন না রাজ্যের বাসিন্দারা। তবে বন্ধ করা হবে না ব্যাঙ্ক, এটিএম, অ্যাম্বুল্যান্স, ওযুধের দোকানের মতো জরুরি পরিষেবাগুলিকে। রাজ্যবাসীর সুবিধার্থে ভ্রাম্যমাণ মুদিখানা বা ফল-শাকসব্জির স্টলের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছে তামিলনাড়ু সরকার। প্রয়োজনে বাড়ির দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবে প্রয়োজনীয় খাবার বা শাকসব্জি।

আরও পড়ুন: ‘জীবাণুনাশকের ইঞ্জেকশন আর সূর্যালোক’, করোনাবধে নতুন প্রেসক্রিপশন ট্রাম্পের

সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য বন্ধ রাখা হবে সমস্ত বেসরকারি অফিসও। তবে ব্যাঙ্ক এবং কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠানে মোট কর্মী সংখ্যার ৩৩ শতাংশ কর্মী দিয়ে অফিস খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে তামিলনাড়ু সরকার। তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির কর্মচারীরা যাতে বাড়ি থেকে কাজকর্ম করতে পারেন, সে দিকেও নজর দিতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলিকে বলা হয়েছে।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement