Coronavirus in India

লকডাউনের মধ্যেই এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে দম্পতির কাছে এল সদ্যোজাত

দিল্লি থেকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সটি সুরতে যায়। সেখানে হাসপাতালের তরফে সুরত বিমানবন্দরে গিয়ে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের নার্সের হাতে তুলে দেওয়া হয় সদ্যোজাতকে। তার প্রায় তিন ঘণ্টা পর এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে শিশুটিকে বাবা মায়ের কোলে পৌঁছে দেওয়া হয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২০ ১৭:২৩
Share:

প্রতীকী চিত্র।

লকডাউনের জেরে বাবা-মায়ের কাছ থেকে দূরে থাকতে হয়েছিল ১৭ দিনের সদ্যোজাতকে। অবশেষে গুজরাতের সুরত থেকে বেঙ্গালুরু উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে বাবা মায়ের কোলে তুলে দেওয়া হল তাকে। সারগেসির মাধ্যমে বেঙ্গালুরুর এক দম্পতির সন্তান জন্ম নেয় গুজরাতের সুরতের এক হাসপাতালে।

Advertisement

ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশনের মাধ্যমে ২৯ মার্চ ওই সারগেট সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু তার আগেই লকডাউন শুরু হয়ে যাওয়ায় বেঙ্গালুরু থেকে সুরত পৌঁছতে পারেননি দম্পতি। এমনকি সন্তানের জন্মের পরও কোনও ভাবেই তার কাছে যাওয়ার উপায় ছিল না বা তাকে বেঙ্গালুরু আনা সম্ভব হচ্ছিল না।

সড়ক পথে যাওয়া আসার কোনও উপায় না থাকায় শেষ পর্যন্ত ওই দম্পতি সিদ্ধান্ত নেন এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সন্তানকে সুরত থেকে বেঙ্গালুরু নিয়ে আসবেন। সেই মতো সব বন্দোবস্ত করা হয়। অনেক চেষ্টা করে দিল্লির একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: জলের কল থেকে ৩ ঘণ্টা ধরে বেরিয়ে এল রেড ওয়াইন

দিল্লি থেকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সটি সুরতে যায়। সেখানে হাসপাতালের তরফে সুরত বিমানবন্দরে গিয়ে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের নার্সের হাতে তুলে দেওয়া হয় সদ্যোজাতকে। তার প্রায় তিন ঘণ্টা পর এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে শিশুটিকে বাবা মায়ের কোলে পৌঁছে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: দুই ভয়ঙ্কর শিকারির লড়াই, শেষ পর্যন্ত জিতল...

শিশুটির বাবা, বছর বেয়াল্লিশের বেঙ্গালুরুবাসী ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, তাঁদের সন্তানকে কোলে নেওয়ার জন্য তাঁরা আর অপেক্ষা করতে পারছিলেন না। এটা তাঁদের কাছে জীবনের সেরা অনুভূতি।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement