কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। —ফাইল চিত্র।
খেতে রবি ফসল কাটার সময় হয়ে গিয়েছে। এ দিকে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ঘরবন্দি চাষিরা ফসল কাটার কাজে নামতে পারছেন না। শ্রমিকরা এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় যেতে না পারায় কৃষিশ্রমিকও মিলছে না। আবার কাটা হলেও মান্ডি বন্ধ থাকায় ফসল বেচা যাচ্ছে না।
সময় মতো ফসল কাটা এবং বিক্রি না হলে চাষিরা তো দুর্দশায় পড়বেন, আগামী দিনে খাদ্যশস্যেও টান পড়বে বলে প্রধানমন্ত্রীকে সতর্ক করলেন বিরোধী নেতারা। আজ কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী থেকে কৃষক সংগঠনের নেতারা পর্যন্ত এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে দাবি তুলেছেন, ফসল কাটা ও তা কেনাকে অত্যাবশকীয় পরিষেবার আওতায় আনা হোক।
সনিয়া আজ প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, মার্চের মধ্যেই অধিকাংশ রাজ্যে রবি ফসল তোলার উপযোগী হয়ে যাবে। চাষের উপরে দেশের ৬০ শতাংশ মানুষ নির্ভরশীল। এইসব ফসল যাতে সময়মতো কাটা হয় এবং তা ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে কেনা হয়, সে দিকে নজর দিতে হবে। কংগ্রেসের যুক্তি, দেশের ৩৩৪ লক্ষ হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছে। সেই ফসল তোলা না-হলে চাষির ৪০ শতাংশ ফসল নষ্ট হবে।
সিপিএমের সারা ভারত কৃষক সভার নেতা হান্নান মোল্লা ও অশোক ধাওয়ালে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের নিষেধাজ্ঞায় হাজার হাজার কোটি টাকার ফসল কাটা যাচ্ছে না। খেতমজুরেরাও কাজ পাচ্ছেন না। কৃষিশ্রমিকের অভাবে ধান-গম কাটার পাশাপাশি তুলো, রবার চাষেও সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আনাজ, ডেয়ারি, ফুল ও মুরগি খামারের সঙ্গে যুক্ত চাষিরাও লোকসানের মুখে পড়ছেন।
কেরল ফসল কাটাকে জরুরি পরিষেবার আওতায় এনেছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারও কিছু পদক্ষেপ করেছে। পশ্চিমবঙ্গের কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “লকডাউনের মধ্যে পরস্পরের সঙ্গে দূরত্ব রেখে কৃষক ও খেতমজুরেরা যাতে চাষের কাজ করতে পারেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই নির্দেশ দিয়েছেন”। বিরোধীদের দাবি, কেন্দ্রও একই ভাবে চাষের কাজ ও খাদ্যশস্যের মান্ডিতে বেচাকেনার কাজ শুরু করুক।