ফাইল চিত্র।
দ্বারভাঙা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বেহাল অবস্থা নিয়ে কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের সঙ্গে তর্কে জড়ালেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের ঘনিষ্ঠ নেতা সঞ্জয় ঝা।
করোনা আবহে বিহারের ওই হাসপাতালের ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা প্রকাশ পেয়েছিল সংবাদমাধ্যমের একটি রিপোর্টে। সেটি তুলে টুইটারে চিদম্বরম প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে। বলেছিলেন, ‘‘১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পরে নীতীশ কুমার ওই হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন কি? সেখানকার পরিস্থিতি কী, সেটা কি তিনি জানেন?’’
দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর এই আক্রমণের পরেই জবাব দিতে এগিয়ে এসেছেন বিহারের জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী সঞ্জয় ঝা। পাল্টা টুইট করে তিনি দাবি করেছেন, বাস্তবের সঙ্গে চিদম্বরমের কোনও যোগ নেই। সঙ্গে রাহুল গাঁধীর নাম না করে তাঁর কটাক্ষ, ‘‘নীতীশ কুমার তাঁর কাজের মধ্যে দিয়েই মানুষের নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। তিনি আপনার (চিদম্বরম) দলের নেতার মতো নন, যিনি উত্তরাধিকার সূত্রে কুর্সি দখল করেছেন।’’
সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে দেখানো হয়েছিল, দ্বারভাঙার হাসপাতালে খুবই অপরিচ্ছন্ন পরিস্থিতির মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা চলছে। স্যাতস্যাতে ঘরে রাখা হয়েছে তাঁদের। দ্বারভাঙার নেতা সঞ্জয় ঝা-র দাবি, সংবাদমাধ্যমে হাসপাতালের যে ভবনটির ছবি দেখানো হয়েছে, তা কংগ্রেসের বহু বছরের অপশাসনের ফল। তবে ওই হাসপাতালের একটি নতুন ভবনে এখন করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা চলছে। আর মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার নিজে তার দেখভাল করছেন। চিদম্বরমের উদ্দেশে বিহারের মন্ত্রী লিখেছেন, ‘‘এই ধরনের কুৎসিত রাজনীতি করার আগে হোমওয়ার্ক করে নেবেন।’’
পাশাপাশি, বিহারে কংগ্রেসের শরিক রাষ্ট্রীয় জনতা দলকেও নিশানা করেছেন সংযুক্ত জনতা দলের নেতা। অভিযোগ এনেছেন,
বিহারকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে গিয়েছিলেন লালুপ্রসাদ। ২০০৫ সালে নীতীশ কুমার ক্ষমতায় আসার আগে পিছিয়ে পড়া বিহারকে ছেড়ে গিয়েছিলেন তিনি। তবে একই সঙ্গে বিহারের মন্ত্রীর দাবি, দ্বারভাঙার পরিস্থিতি এখন পুরোপুরি বদলে গিয়েছে। গত বছরেই সেখানে চালু হয়েছে বিমানবন্দর। ভবিষ্যতে গড়ে উঠতে চলেছে এমসের মতো একটি হাসপাতাল।