মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী। ছবি: পিটিআই
দেশের করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে না গেলেও দুশ্চিন্তা রয়েছে হটস্পটগুলি নিয়ে। ওই সব এলাকায় এখনও সংক্রমণের হার বাড়ছে। তাই হটস্পটগুলিতে একই রকম কড়াক়ডি থাকবে বলে মু্খ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও হটস্পটগুলিতে কড়াকড়ি বজায় রাখার পক্ষে মত দিয়েছে। তবে এ দিনরে বৈঠকে ৩ মে-র পরের পরিকল্পনা ছকে রাখার জন্যও মুখ্যমন্ত্রীদের বলেছেন নরেন্দ্র মোদী। মুখ্যমন্ত্রীরা এদিন প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্থিক প্যাকেজের দাবি করেছেন বলে সূত্রের খবর।
কিন্তু যে সব এলাকায় লকডাউন উঠে যাবে, সেখানকার কী পরিকল্পনা, সেই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাতে অধিকাংশ মুখ্যমন্ত্রীই এখনই গণপরিবহণ চালু না করার কথা বলেছেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি স্কুল-কলেজ ও শিক্ষপ্রতিষ্ঠান, শপিং মল বন্ধ রাখা এবং ধর্মীয় বা যে কোনও ধরনের জমায়েতের উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি রাখার পক্ষপাতী মুখ্যমন্ত্রীরা।
প্রধানমন্ত্রী তাঁদের বলেছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের তীব্রতা অনুয়ায়ী রেড, গ্রিন ও অরেঞ্জ জোনে ভাগ করে লকডাউন তোলার পরিকল্পনা সাজাতে হবে। রেড জোনগুলিকে ধীরে ধীরে অরেঞ্জ এবং অরেঞ্জ জোনকে গ্রিন জোনে অর্থাৎ সংক্রমণমুক্ত এলাকায় পরিণত করার চেষ্টা জারি রাখতে হবে। পাশাপাশি ৩ মে-র পরের পরিকল্পনা আগাম ছকে রাখার জন্য মুখ্যমন্ত্রীদের বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। ২০ এপ্রিল থেকে আর্থিক কর্মকাণ্ডে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তার পর রবিবারই ছোট দোকানপাট খোলাতেও ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী এ দিন সেই সব বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়েছেন। পাশাপাশি সর্বত্র সামাজিক দূরত্বের নিয়ম মেনে চলার কথাও বলেছেন মুখ্যমন্ত্রীদের।
আরও পড়ুন: টহল পূর্ব মেদিনীপুরে, উত্তরবঙ্গে লরি চালকদের সঙ্গেও কথা কেন্দ্রীয় দলের
বৈঠকে হাজির মুখ্যমন্ত্রীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, অধিকাংশ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই আর্থিক প্যাকেজের দাবি করেছেন। প্রধানমন্ত্রী সরাসরি সে বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত না জানালেও আশ্বস্ত করে বলেছেন, ‘‘আর্থিক দিক নিয়ে চিন্তা করবেন না। আমাদের অর্থনীতি ভাল জায়গায় রয়েছে।’’
লকডাউনের জেরে বিদেশে আটকে পড়েছেন বহু ভারতীয়। তাঁদের উদ্ধারের বিষয়েও এ দিন মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধারের বিষয়টি অবশ্যই প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তাঁদের মাধ্যমে যাতে তাঁদের পরিবার বা অন্য কারও সংক্রমণ না ছড়ায়, সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। এ দিনের বৈঠকে হাজির ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
আরও পড়ুন: দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ হাজার ছুঁইছুঁই, করোনায় মৃত্যু বেড়ে ৮৭২
(এই খবরটি প্রথম প্রকাশের সময় লেখা হয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমরা দুঃখিত।)