National News

এক দিনে রেকর্ড আক্রান্ত, দেশে মৃত্যু বেড়ে ৯

করোনা মোকাবিলায় দেশের ৩০টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সব ক’টি জেলায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২০ ০৩:৫৫
Share:

ছবি: এপি।

নোভেল করোনাভাইরাস দেশে আশঙ্কা-আতঙ্ক বাড়িয়েই চলেছে। এই ভাইরাসের আক্রমণে প্রাণহানি এবং সংক্রমণে রাশ টানা যাচ্ছে না। এখনও পর্যন্ত দেশে করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। পশ্চিমবঙ্গে আজ প্রথম করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। হিমাচলপ্রদেশে করোনা সংক্রমণে মারা গিয়েছেন আমেরিকা ফেরত এক প্রৌঢ়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসেব অনুযায়ী, আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬৮। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর হিসেবে অবশ্য সংখ্যাটা ৪৭১। আজ নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন শতাধিক ব্যক্তি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক এবং আইসিএমআর-এর দাবি, ঠিক মতো লকডাউন কার্যকর করতে পারলে সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে।

Advertisement

সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে আজ মৃত্যু হয় ৫৭ বছরের করোনা আক্রান্ত এক প্রৌঢ়ের। দমদমের বাসিন্দা ওই ব্যক্তির বিদেশ সফরের কোনও রেকর্ড নেই। সর্দি-কাশি-জ্বর নিয়ে গত ১৬ মার্চ তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ২০ মার্চ তাঁর লালারস নাইসেডে পাঠানো হলে পরীক্ষা করে জানা যায়, তিনি কোভিড-১৯ আক্রান্ত।

হিমাচলের কাংড়ার বাসিন্দা ওই প্রৌঢ় একটি বেসরকারি হাসপাতালে আজ মারা যান। রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব (স্বাস্থ্য) আর ডি ধীমান জানিয়েছেন, প্রৌঢ় গত ১৫ মার্চ আমেরিকা থেকে দিল্লি ফেরেন। রাজধানীতে তিনি কিছু দিন ছিলেন। গত পরশু ট্যাক্সি করে হিমাচলপ্রদেশে ফেরেন তিনি। পরে করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তাঁর লালারস পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু রিপোর্ট আসার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। ধীমান জানান, যে ট্যাক্সি করে প্রৌঢ় হিমাচলে এসেছিলেন, সেই গাড়ির চালককে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁকে এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের গৃহ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: করোনায় থমকাবে এনপিআর, জনগণনা

এরই মধ্যে করোনা মোকাবিলায় রাজ্যগুলিকে নয়া পরামর্শ দিয়েছে আইসিএমআর। তারা বলেছে, পৃথক পৃথক হাসপাতালে নয়, করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা হোক একটি নির্দিষ্ট হাসপাতালেই। অভিযোগ উঠছে, কোভিড-১৯ রোগের মোকাবিলায় হাইড্রো অক্সি-ক্লোর-কুইনিনের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কারণ, কালোবাজারি হচ্ছে। তবে আইসিএমআরের ডিজি বলরাম ভার্গব বলেন, ‘‘যে সব চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্তদের দেখভাল করছেন, শুধু তাঁদেরই ওই ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।’’ ‘জনতা কার্ফু’ থেকে ইতিবাচক ফল পাওয়া গিয়েছে কি না জানতে চাওয়া হলে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল বলেন, ‘‘জনতা কার্ফুর পরবর্তী পদক্ষেপই লকডাউন। তা ঠিক মতো করতে পারলে সুফল মিলবে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসবে।’’

করোনা-দাপট

মৃত ৯
আক্রান্ত ৪৬৮ (কেন্দ্রের হিসেবে)

• ১৯টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সংক্রমণ
• মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে অন্তর্দেশীয় উড়ান বন্ধ
• লকডাউন সত্ত্বেও ভিড় সামলাতে পঞ্জাব, মহারাষ্ট্রে কার্ফু
• সংসদে বাজেট অধিবেশন শেষ

লকডাউন সত্ত্বেও জমায়েত আটকানো যাচ্ছে না অনেক রাজ্যেই। বিষয়টি নিয়ে আজ মুখ্যসচিব এবং পুলিশের প্রধানকে নিয়ে বৈঠক করেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কার্ফু জারি হয়েছে পঞ্জাবে। কার্ফু চলাকালীন কাউকে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। লকডাউন নিশ্চিত করতে রাজ্যে কার্ফু ঘোষণা করেছে মহারাষ্ট্র সরকারও। কার্ফু জারি হয়েছে পুদুচেরিতেও।

করোনা মোকাবিলায় দেশের ৩০টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সব ক’টি জেলায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসেব বলছে, দেশে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছে মহারাষ্ট্রে। সেখানে কোভিড-১৯ রোগাক্রান্তের সংখ্যা ৭৪। তামিলনাড়ুতে আজ তিন জন নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement