এখনও পর্যন্ত মোট ২৪ লক্ষ ৪ হাজার ৫৮৫ জন করোনার কবল থেকে মুক্ত হয়েছেন। গ্রাফিক-শৌভিক দেবনাথ।
গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন যত জন, সুস্থ হয়েছেন তার চেয়েও বেশি। এই ব্যবধানটা প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজারের।
গত কাল থেকে সুস্থের সংখ্যা যেখানে ‘রেকর্ড’ ৬৬,৫৫০, সেখানে নতুন সংক্রমিতের সংখ্যা ৬০,৯৭৫। দেশে করোনার প্রকোপ শুরু হওয়া ইস্তক কোনও দিন সুস্থের সংখ্যা নতুন সংক্রমিতের সংখ্যাকে ছাপিয়েছে বলে মনে করতে পারছেন না বিশেষজ্ঞেরা।
এই পরিস্থিতিতে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর ডিজি বলরাম ভার্গবের আক্ষেপ, দায়িত্বজ্ঞানহীন মানুষদের জন্যই দেশে কোভিড অতিমারি রয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘এঁরা নবীন কি প্রবীণ প্রজন্ম, তা আমি বলব না। যাঁরা দায়িত্বজ্ঞানহীন, যাঁরা সতর্কতা তেমন মানছেন না, মাস্ক পরছেন না— তাঁরাই এ দেশে অতিমারিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।’’
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
সরকারি ভাবে দেশে মোট সুস্থের সংখ্যা ২৪ লক্ষ পেরিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকও জানাচ্ছে, কোভিড পরীক্ষার সংখ্যা বেড়ে চললেও সংক্রমণের হার টানা কমছে। আজ সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ জানান, রোজ মোট পরীক্ষার নিরিখে রিপোর্ট পজ়িটিভ হওয়া অর্থাৎ সংক্রমণের হার অগস্টের প্রথম সপ্তাহে ছিল গড়ে ১১%। এখন তা ৮%।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
আরও পড়ুন: নীরব-পত্নীর বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিস ইন্টারপোলের
১ অগস্ট সারা দেশে যেখানে প্রতি দশ লক্ষে ৩৫৩টি পরীক্ষা হয়েছিল, এখন পরীক্ষার সংখ্যাটা ৬০০ পেরিয়ে গিয়েছে। অথচ সুস্থতার মোট হার প্রায় ৭৬ শতাংশে (৭৫.৯২%) পৌঁছেছে। বিশেষত গত ২৫ দিনে সুস্থের সংখ্যা বেড়েছে ১০০ শতাংশেরও বেশি।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
আন্তর্জাতিক সমীক্ষক ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের পরিসংখ্যানে, ভারতে মোট রোগী ৩১.৯১ লক্ষের বেশি। তাদের হিসেবে মোট সুস্থের সংখ্যাও ২৪.২৫ লক্ষ। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বক্তব্য, দেশে মোট অ্যাক্টিভ রোগীর চেয়ে মোট সুস্থ এখন ১৭ লক্ষেরও বেশি। স্বাস্থ্যসচিব জানান, ভারতে মোট মৃতের ৫১ শতাংশের বয়স ষাট অথবা তার বেশি। তবে মৃত্যুহার ক্রমশ নিম্নগামী। এখন তা ১.৮৪ শতাংশ।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)