প্রশান্ত কিশোর। —ফাইল চিত্র।
করোনার প্রকোপে দৈনিক মৃত্যুতে ফের রেকর্ড দেশে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের মানুষের কথা না ভেবে কেন্দ্র নিজের ভাবমূর্তি রক্ষায় ব্যস্ত বলে তোপ দাগলেন প্রশান্ত কিশোর। চারিদিকে শোকের পরিবেশ। এই অবস্থায় আশা জোগানোর নামে কেন্দ্র মিথ্যাচার এবং আত্মপ্রচারের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করলেন এই রাজনৈতিক কৌশলী।
বুধবার দেশে ৪ হাজার ২০৫ জন কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে, এখনও পর্যন্ত যা সর্বোচ্চ। তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি কেন্দ্র। বরং দৈনিক পরিসংখ্যান সামনে আসার পর সকালে পরীক্ষা বাড়ানোর কৃতিত্বই নেটমাধ্যমে তুলে ধরতে দেখা গিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনকে। তাতে নেটাগরিকদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে।
সরাসরি যদিও হর্ষ বর্ধনের নাম উল্লেখ করেননি প্রশান্ত। কিন্তু স্বাস্থ্যমন্ত্রীর টুইটের পরই কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে মোদী সরকারকে একহাত নেন তিনি। টুইটারে প্রশান্ত লেখেন, ‘গোটা দেশ যখন শোকস্তব্ধ, চারিদিকে যখন স্বজন হারানোর আর্তনাদ, সেই পরিস্থিতিতেও আশা জোগানোর নামে মিথ্যাচার এবং আত্মপ্রচারের চেষ্টা চলছে। আশাবাদী হওয়ার জন্য সরকারের অন্ধ প্রচারক না হলেও চলবে আমাদের’।
এর আগে, করোনাকে রুখতে ডার্ক চকোলেট খেয়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েও তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন হর্ষ বর্ধন। দেশের কত শতাংশের দামি ডার্ক চকোলেট কেনার সামর্থ্য রয়েছে, সেই নেটাগরিকদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। শুধু হর্ষ বর্ধনই নন বিজেপি-র ছোট-বড় বহু নেতাই মোদী সরকারের ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করছেন বিরোধীরা।
তবে এমন পরিস্থিতিতে প্রশান্তের টুইট আলাদা করে নজর কেড়েছে। পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচনে ভোটের কৌশলে বিজেপি-কে মাত দেওয়ার পর ওই পেশা থেকেই অবসর ঘোষণা করেছেন তিনি। কিন্তু তার পরেও লাগাতার নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েই চলেছেন প্রশান্ত। ‘চাণক্য’ নন, অমিত শাহকে ‘সাধারণ ভোট ম্যানেজার’ বলেও সম্প্রতি কটাক্ষ করেন তিনি। কোভিড নিয়েও যে ভাবে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেছেন তিনি, তাতে যদিও তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপের ইঙ্গিত পাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ সম্প্রতি পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহের প্রধান উপদেষ্টা নিযুক্ত হয়েছেন তিনি। তাই এখন থেকেই অমরেন্দ্রকে জেতানোর সুর বাঁধতে শুরু করেছেন বলে মনে করছেন অনেকে।