প্রতীকী ছবি।
এক জন পাইলটের দেহে কোভিড-১৯ ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে বলে জানাল স্পাইসজেট।
ওই বিমান সংস্থা জানিয়েছে, নয়ডার বাসিন্দা ওই পাইলট এখন নিজের বাড়িতে কোয়রান্টিনে আছেন। অন্য যে সব কর্মী তাঁর সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাঁদের ১৪ দিনের জন্য বাড়িতে কোয়রান্টিনে থাকতে বলা হয়েছে। স্পাইসজেট জানিয়েছে, ওই পাইলট মার্চ মাসে কোনও আন্তর্জাতিক উড়ান চালাননি। কাল তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যায়। শেষ বার ২১ মার্চ চেন্নাই থেকে দিল্লিগামী বিমান চালিয়েছিলেন তিনি। আক্রান্ত পাইলটের উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে স্পাইসজেট। তবে একটি অডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নানা শিবিরের দাবি, ওই ক্লিপে আক্রান্ত পাইলটই জানিয়েছেন যে তিনি ফেব্রুয়ারি মাসে ব্যাঙ্ককগামী বিমান চালিয়েছিলেন। অন্য পাইলটদের সুবিধের জন্য নিজের করোনা-উপসর্গ বর্ণনা করতে একটি ভিডিয়ো ক্লিপ প্রকাশ করার কথাও বলেছেন ওই পাইলট। স্পাইসজেট কর্তৃপক্ষ অবশ্য ফেব্রুয়ারি মাসের উড়ান সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করেননি। তবে পাইলট ভিডিয়ো তৈরি করতে চাইলেও তাঁকে সেই অনুমতি দেওয়া হবে না বলেই বিমান সংস্থা সূত্রের খবর।
স্পাইসজেট কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘যাত্রী ও কর্মীদের সুরক্ষাই আমাদের কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। জানুয়ারি মাসের শেষ দিক থেকে হু-র বিধি মেনে সব বিমান জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে।’’
করোনা পরিস্থিতিতে পাইলটদের সুরক্ষা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। এয়ার ইন্ডিয়া ও ইন্ডিগো সম্প্রতি জানায়, করোনার কবলে থাকা দেশগুলি থেকে ভারতীয়দের উদ্ধার করতে তাদের যে সব পাইলটকে পাঠানো হয়েছিল তাঁদের একঘরে করা হচ্ছে। এ নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আবার সম্প্রতি দিল্লিতে এয়ার এশিয়ার একটি বিমানে যাত্রীর করোনা উপসর্গ থাকার কথা শুনেই পাইলট ও কো-পাইলট ককপিট থেকে পালিয়ে যান। যাত্রী ও অন্য বিমানকর্মীদের নামার জন্য অপেক্ষাও করেননি তাঁরা। তা নিয়েও বিতর্ক হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আজ পাইলটদের ‘ব্রিদ অ্যানালাইজ়ার’ পরীক্ষা বন্ধ রাখতে অনুরোধ করেছে এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলটদের সংগঠন। তারা জানিয়েছে, উড়ানের আগে-পরে পাইলটের দেহে অ্যালকোহলের মাত্রা বিচার করতে ওই পরীক্ষা করা প্রয়োজন। কিন্তু এখন ‘ব্রিদ অ্যানালাইজ়ার’ যন্ত্রের মাধ্যমে এক পাইলটের সংক্রমণ অন্য পাইলটের দেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে।