প্রতীকী ছবি।
বিনামূল্যের করোনার প্রতিষেধক জনপ্রতি ৩০০ টাকায় বিক্রি করার অভিযোগে তদন্তের মুখে পড়লেন মণিপুরের এক চিকিৎসক। পুলিশ জানায়, ইয়াইরিপক খইরম স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক আথোকপাম রাজেনের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে করোনার টিকা দেওয়ার অভিযোগ আসছিল। গত কাল পুলিশ ও স্থানীয় সংগঠনের সদস্যেরা তাঁর বাড়িতে হানা দেন। দেখা যায়, অন্য এলাকার ১৫ জনকে তিনি টাকার বিনিময়ে প্রতিষেধক দিচ্ছিলেন। হাতেনাতে ধরা পড়ার পরে তিনি দাবি করেন, খোদ মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতি নিয়েই তিনি জনকল্যাণের জন্য এই কাজ করছিলেন। কিন্তু দাবির পক্ষে কোনও অনুমতিপত্র তিনি দেখাতে পারেননি।
স্থানীয় সংগঠনগুলি জানিয়েছে, তাঁকে আর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হবে না। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
অন্য দিকে গুয়াহাটিতে দিসপুর সচিবালয়, বিধানসভা, বিধায়ক ও মন্ত্রী আবাস-সহ লাস্ট গেট, গণেশগুড়ি মোড়, গণেশ মন্দির এলাকাজুড়ে নিষিদ্ধ এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। অসম জাতীয় পরিষদ সব জেলায় কোভিড রোগীদের সাহায্যের জন্য হেল্পলাইন ও প্লাজমা ব্যাঙ্ক তৈরি করছে।
চলতি বছরে অসমে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মৃত ও আক্রান্ত আজ। মারা গেলেন ৯২ জন। আক্রান্ত ৬৩৯৪। অবশ্য পজ়িটিভিটির হার কমে ৬.৯৯ শতাংশ হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা ঘোষণা করেন, করোনা সংক্রমণ রুখতে শুক্রবার থেকে আন্তঃজেলা গাড়ি চলাচল ও যাতায়াত বন্ধ করা হবে। তিনি আরও জানান, রাজ্যে বর্তমানে দৈনিক অক্সিজেনের চাহিদা ৭০ টন। উৎপাদন হচ্ছে ৮০ টন। যত দ্রুত সম্ভব উৎপাদন ১০০ টন করার চেষ্টা চলছে। প্রতিবেশী রাজ্যগুলিকে অসম অক্সিজেন সাহায্য পাঠাচ্ছে। ১০০ টন অক্সিজেন নিয়ে অক্সিজেন ট্রেন গুয়াহাটি আসার সম্ভাবনা রয়েছে।