—ফাইল চিত্র।
কোভিডের প্রকোপে ডাক্তার পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে অসমের কাছাড় জেলায় বিনা চিকিৎসায় বাড়িতে মানুষ মারা যাচ্ছেন বলে অভিযোগ৷ শিলচর মেডিক্যাল কলেজের সুপার অভিজিৎ স্বামী জানান, আগে বাড়ি বা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়ার পথে সপ্তাহে এক জনের মৃত্যু হত৷ করোনা সঙ্কটের শুরুতে তা বেড়ে প্রতি দিন একটা হয়৷ এখন সংখ্যাটা দৈনিক ৪-৫ জন৷
কেন আচমকা এতটা বেড়ে গেল? শিলচর মেডিক্যাল কলেজের সুপার অভিজিৎ স্বামী জানান, একে ডাক্তারের সঙ্কট, তার উপরে করোনা সঙ্কট৷ সরকারি নির্দেশেই চাকরিরত ডাক্তাররা এখন আর নিজেদের চেম্বার বা নার্সিং হোমে রোগী দেখতে পারছেন না৷ ফলে বাইরে কোথাও ডাক্তার দেখানোর ব্যাপার, বলতে গেলে নেই।
আর অসুস্থ হয়েই যে মানুষ সরকারি হাসপাতাল বা মেডিক্যাল কলেজে চলে যাবেন, তাও করোনার ফলে সম্ভব নয়৷ কারণ হাসপাতালে গেলেই এখন কোভিড টেস্ট বাধ্যতামূলক৷
বাড়ি বা রাস্তায় মৃতদের সংখ্যা বেড়ে চলায় শিলচর মেডিক্যাল কলেজে অন্য ধরনের কাজ বেড়ে গিয়েছে৷ স্বামী বলেন, মৃত অবস্থায় কাউকে হাসপাতালে আনলে তাঁর দেহের ময়নাতদন্ত করাতে হয়৷ আগে এমন ময়নাতদন্ত সপ্তাহে এক বার করতে হলে এখন দৈনিক একাধিক বার করতে হচ্ছে৷
কিন্তু চিকিৎসক সঙ্কট থেকে বাঁচার উপায় কী? কাছাড়ের অতিরিক্ত জেলাশাসক সুমিত সাত্তায়ান বলেন, করোনার ভয়ে চিকিৎসাকে এড়িয়ে চলে লাভ হবে না৷ সামান্য সমস্যাতেই কোভিড টেস্ট করিয়ে নিলে চিকিৎসা দ্রুত ও সহজতর হয়৷