ছবি: সংগৃহীত।
ত্রিপুরা সরকার ঘোষণা করেছিল, করোনায় মৃত্যু হলে পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে সাহায্য করা হবে| শুক্রবার ২ জন মারা যাওয়ায় রাজ্যে করোনা সংক্রমিত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭০। প্রদেশ কংগ্রেসের সহসভাপতি তাপস দে শনিবার অভিযোগ করেছেন, এখনও একটি পরিবারও ওই টাকা পেয়েছেন কি না, কেউ জানেন না। কোনও কিছু করার আগে অনুমোদন দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হয়। কিন্তু রাজ্যের বিজেপি সরকার শুধুমাত্র ঘোষণা করেই দায় সারে। কাজের কাজ কিছু করে না। সুদীপবাবুর কথায়, “সস্তায় বাজিমাত করে রাজ্যবাসীকে বিভ্রান্ত করছে বিজেপি-আইপিএফটি সরকার।”
রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮০ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ মিলেছে। যা এক দিনে সংক্রমণের রেকর্ড এই রাজ্যে। বর্তমানে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ৮৩৮৬। পশ্চিম জেলায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ৭০ জনের মধ্যে ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে শুধু এই জেলায়। গোমতী জেলায় মারা যান ১৪ জন, সিপাহীজলায় ৮ জন, খোয়াইয়ে ৭ জন, দক্ষিণ জেলায় ৪, ধলাইয়ে ২ জন এবং উত্তর ত্রিপুরা জেলায় ২ জন। রাজ্যের মধ্যে একমাত্র ঊনকোটি জেলায় করোনায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি এ পর্যন্ত|অসম ও ত্রিপুরার পরে উত্তর-পূর্বের তৃতীয় রাজ্য হিসেবে পাঁচ হাজার করোনা আক্রান্তের গণ্ডি পার করল মণিপুর। আক্রান্তের সংখ্যা ৫০৪৯। মৃতের সংখ্যা ২০। রাজ্যে সুস্থ ৩২৬১ জন। অসমে রাজ্যসভার সাংসদ কামাখ্যাপ্রসাদ তাসা ও দেরগাঁওয়ের অগপ বিধায়ক ভবেন্দ্রনাথ ভরালি করোনায় আক্রান্ত। দু’জনই যোরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। ভরালি আইসিইউয়ে। অসমে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৮৯ হাজার। পজ়িটিভিটি রেট ৫.১২%, সুস্থতার হার ৭৩.৪%। মৃত্যুহার ০.২৬%। মৃতের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত ২২৭।