পুরীর সমুদ্র সৈকত থেকে ভিড় সরাতে ব্যস্ত পুলিশ। ছবি: পিটিআই।
শ্রীমন্দিরের দরজায় সাধারণের জন্য তালা পড়েনি এটুকুই। তবু আগামী ১ এপ্রিল পর্যন্ত পারতপক্ষে পুরীতে আসবেন না স্পষ্ট বলছে ওড়িশা প্রশাসন। এর আগে ফণী ঘূর্ণিঝড়ের সময়ে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়ে সাধারণ মানুষের সুরক্ষায় অনেকটা সফল হয় ওড়িশা। খানিকটা সে-ভাবেই করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে পুরীতে তারা মাঠে নেমেছে। মঙ্গলবার জগন্নাথ মন্দিরের ভিতরে কী করা যাবে কি যাবে না, ওড়িশা সরকারের তরফে ইংরেজি এবং ওড়িয়ায় তার নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
জগন্নাথ মন্দিরের মুখ্য প্রশাসক, আইএএস-কর্তা কৃষ্ণ কুমার এ দিন বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের ভক্তদের উদ্দেশেও বলছি, পারলে ১ এপ্রিল পর্যন্ত পুরীতে আসবেন না। মন্দিরে দর্শনের জন্য এখন অনেক ঝামেলা পোয়াতে হবে। রোগভোগ থেকে শুরু করে যাতায়াতের ফিরিস্তির ফর্ম ভর্তি করতে হচ্ছে। তা ছাড়া, মন্দিরের ভিতরে যাতায়াতেও নানা কড়াকড়ি। একান্তই বিশেষ কারণ না-থাকলে এখন দর্শনের জন্য আসবেন না।’’ মন্দিরের বাইরে এ দিন ফর্ম ভরাট করতে সরকারি কর্মীরা বসেছেন। ডাক্তারেরাও রয়েছেন। তবে শুধু মন্দিরের সামনে নয়, পুরী স্টেশন বা বাস রাস্তাতেও এমনই ব্যবস্থা।
সরকারি সূত্রের খবর, পিপলি থেকে অনেক বাসের যাত্রীকেই বুঝিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে। পুরীতে ঢুকতে পারলেও জেলার অন্তত ৩৩টি পর্যটনস্থল বন্ধ রাখা হয়েছে। কোণার্ক, চিলিকা, ভুবনেশ্বরের প্যাকেজ সফরগুলিও ব্ন্ধ। পুরীর ভিতরে মন্দিরে তাও ঢোকা যাচ্ছে, সমুদ্রস্নানে সে-উপায়টুকুও নেই। ফলে অনেক পর্যটকই পুরী ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মন্দিরে ঢুকলেও ভক্তদের মধ্যে দেড় মিটারের ফারাক রাখতে হবে। মন্দিরের বিভিন্ন স্তম্ভ বা দেবদেবীর মূর্তি, বাহনদের ছোঁয়া বারণ। মন্দিরে ভিতরে ভোগ খেতেও নিষেধ করা হয়েছে। তবে মন্দিরে বিপুল ভক্তসমাগম ঘটলে এই সব সতর্কতা-বিধি মেনে চলা কঠিন হতো। মন্দিরের প্রবীণ সেবায়েত তথা ম্যানেজিং কমিটির সদস্য রামচন্দ্র দয়িতাপতি বলেন, ‘‘মন্দিরে ভক্তের সংখ্যা কমে এখন টেনেটুনে ১০ শতাংশ। আমরা খুশি যে ভাবে সতর্কতা বিধি কার্যকর করা হচ্ছে।’’