গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
দেশে নোভেল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়িয়ে গেল। কেন্দ্রীয় স্বাস্যমন্ত্রকের তরফে রবিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত যে হিসাব প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে দেশে এখনও পর্যন্ত ৪০ হাজার ২৬৩ জন কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১০ হাজার ৮৮৬ মানুষ।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসাব অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ৮৩ জনের। এই বৃদ্ধিতে রবিবার বিকাল পর্যন্ত দেশে মোট ১৩০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৪৮৭ জন।
আক্রান্তের নিরিখে এই মুহূর্তে মহারাষ্ট্রই শীর্ষ স্থানে রয়েছে। সেখানে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১২ হাজার ২৯৬। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে গুজরাত। সেখানে ৫ হাজার ৫৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তৃতীয় স্থানে রয়েছে রাজধানী দিল্লি। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ১২২।
আক্রান্তের পাশাপাশি করোনাভাইরাসের জেরে মৃত্যুসংখ্যাতেও দেশের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। সে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৫২১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৭৯০ জনের। গুজরাতে করোনার প্রকোপে এখনও পর্যন্ত ২৬২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৩৩৪ জন। কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দিল্লিতে এখনও পর্যন্ত ৬৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। সেখানে নতুন করে আক্রান্ত ৩৮৪ জন।
আরও পড়ুন: করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা, শ্রমিক-প্রশ্নে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা চায় নবান্ন
শুক্রবার নতুন করে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫৭, শনিবার সেই সংখ্যা ৭০। তবে এত দিন মোট করোনা অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা দেওয়া হলেও এই বুলেটিনগুলিতে সেই পরিসংখ্যানের উল্লেখ নেই। কো-মর্বিডিটিতে মৃত্যুর সংখ্যার উল্লেখও করা হয়নি। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু কত, তা এই প্রথম লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। বুলেটিন অনুযায়ী, দু’দিনে মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬০ জন। শনিবার এম আর বাঙুরে মোট ৪০ জন রোগীকে একসঙ্গে ছুটি দেওয়ার সময় সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেবে পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যা ৯২২। রাজ্যে মোট মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জনের। তবে রাজ্য সরকারের হিসেবে এত দিন মোট করোনা অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা দেওয়া হলেও শনিবার এবং শুক্রবারের করোনা বুলেটিনে সেই পরিসংখ্যানের উল্লেখ নেই। শনিবার নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭০ জন। রাজ্যের বুলেটিনে কো-মর্বিডিটিতে মৃত্যুর সংখ্যার উল্লেখও করা হয়নি। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু কত, তা এই প্রথম লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে শনিবার। বুলেটিন অনুযায়ী, দু’দিনে মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬০ জন।
আরও পড়ুন: এ বঙ্গে কিসে কিসে ছাড়? রাজ্যের সিদ্ধান্ত সোমবার
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক ও রাজ্যগুলির দাবি, টেস্টের সংখ্যা বাড়ানোর কারণেই এত সংখ্যক আক্রান্ত বাড়ছে। তার মধ্যেই আবার ছাত্র, পর্যটক ও পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরার অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র। রাজ্যে ফিরতেও শুরু করেছেন অনেকে। কিন্তু অনেকেরই আশঙ্কা, এতে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)