সমাধিতে জীবাণুনাশক ছড়াচ্ছেন পুরকর্মীরা। ছবি: পিটিআই
জীবদ্দশায় আত্মীয় পরিজনের যতটা কাছাকাছি ছিলেন, মৃত্যুর পর ততটাই যেন দূরে সরে গেলেন তিনি। প্রাণ কেড়েছে করোনা। তাই বাধা হয়ে দাঁড়াল বৃদ্ধের শেষকৃত্যের সময়। সংক্রমণের আশঙ্কায় কোয়রান্টিনে রাখা হয়েছে ওই বৃদ্ধের পরিবারের সকল সদস্যকেই। শেষ পর্যন্ত তাঁকে সমাধি দেন স্থাস্থ্যকর্মীরা। শনিবার এমন ঘটনার সাক্ষী হল তেলঙ্গানা।
কিছু দিন আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তেলঙ্গানার ৭৪ বছরের ওই বৃদ্ধ। রাজ্যে মারণ রোগের প্রথম শিকার তিনি। কিন্তু তিনি যে করোনার বলি হয়েছেন, তা জানা যায়, মৃত্যুর পর। লালারসের নমুনা পরীক্ষা করে। এর পরই কোয়রান্টিনে রাখা হয় তাঁর পরিবারের সকলকেই। তাঁদের কাউকেই শেষকৃত্যে উপস্থিত থাকতে দেওয়া হয়নি।
গোটা দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন। বিধি অনুযায়ী, এই সময় অন্ত্যেটি ক্রিয়ায় ২০ জনের বেশি উপস্থিত থাকা যায় না। ওই দিন স্বাস্থ্যকর্মীরাই তাঁকে সমাধি দেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তা জানা যায় মৃত্যুর পর। তিনি অন্যান্য অসুখেও আক্রান্ত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাতিলই হচ্ছে এ বারের আইপিএল?
তেলঙ্গানার এই ছবি অবশ্য নতুন নয়। পৃথিবীর ১৭৫টির-ও বেশি দেশে তাণ্ডব চালাচ্ছে করোনভাইরাস। ইটালি-সহ একাধিক দেশেই দেখা গিয়েছে করোনায় মৃত ব্যক্তির দেহ সৎকারের জন্য নেমেছেন স্বাস্থ্যকর্মী বা সেনা সদস্যরা। এ দেশে দিল্লিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৬৮ বছরের বৃদ্ধা মারা যান। তাঁর অন্ত্যেষ্টিতেও জটিলতা দেখা দেয়। সৎকারে প্রথমে রাজি হচ্ছিলেন না শ্মশান কর্তৃপক্ষ। পরে স্বাস্থ্যকর্মীদের উপস্থিতিতে শেষকৃত্য হয়।
অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।