ফাইল চিত্র।
মোদী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীই জানেন না, মোদী সরকার কী কাজ করছে! তা-ও আবার কোভিডের টিকা উৎপাদন বাড়ানোর ক্ষেত্রে।
আরএসএস-এর সংগঠন স্বদেশি জাগরণের মঞ্চেই দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দু’রকম অবস্থান নিয়েছেন। প্রবীণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী বলেছেন, দেশে যখন চাহিদা মাফিক টিকা মিলছে না, তখন একটি সংস্থাকে টিকা তৈরির দায়িত্ব না দিয়ে ১০টি সংস্থাকে টিকা উৎপাদন করতে বলা হোক। স্বদেশি জাগরণের ওই অনুষ্ঠানের আবার কেন্দ্রীয় রসায়ন মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডভিয়া দাবি করেছেন, টিকা উৎপাদন বাড়াতে একাধিক সংস্থাকে টিকা তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এই সমন্বয়ের অভাব ফুটে ওঠার পরে বিরোধীরা বলছেন, কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় কোনও আলোচনাই হয় না, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই যে নিজের মতো সিদ্ধান্ত নিয়ে বাকিদের নির্দেশ দিয়ে দেন, সেটাই স্পষ্ট।
দেশে টিকার অভাব দেখা দেওয়ায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে পরামর্শ দিয়েছিলেন, সিরাম, ভারত বায়োটেকের পাশাপাশি অন্যান্য সংস্থাকেও লাইসেন্স ফি-র বিনিময়ে টিকা তৈরি করতে দেওয়া হোক। স্বদেশি জাগরণ মঞ্চের অনুষ্ঠানে গত সন্ধ্যায় ঠিক একই কথা বলেন কেন্দ্রীয় মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পমন্ত্রী গডকড়ী। তারপরেই কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ কটাক্ষ করেন, “গডকড়ীর বস কি ওঁর কথা শুনছেন? মনমোহন সিংহও তো একই পরামর্শ দিয়েছিলেন।” মজার কথা হল, গডকড়ীর ওই মন্তব্যের আগেই স্বদেশি জাগরণ মঞ্চের অনুষ্ঠানে কেন্দ্রের রসায়নমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, সরকার এই কাজ শুরু করে দিয়েছে। অস্বস্তির মুখে পড়ে গডকড়ী আজ ব্যাখ্যা দিয়েছেন, এ বিষয়ে তিনি অবহিত ছিলেন না। অনুষ্ঠানে তিনি টিকা উৎপাদন বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়ার পরে মাণ্ডভিয়া তাঁকে জানান, সরকার ইতিমধ্যেই ১২টি আলাদা সংস্থা বা কারখানাকে এ বিষয়ে সাহায্য করছে। বিরোধীদের বক্তব্য, এখানেও ভুল দাবি করা হচ্ছে। কেন্দ্র শুধুমাত্র তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন তৈরির দায়িত্ব দিয়েছে। তা-ও গত মাসে।