NITI Aayog

‘অনেক মানুষ জমায়েত করলে খুশি হয় ভাইরাস’

সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনও এই নিয়ে সাবধান করে বলেছেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উৎসব পালনের নির্দেশ কোনও ধর্ম বা ঈশ্বর দেননি। 

Advertisement

নিজস্ব সং‌বাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২০ ০৪:৩৩
Share:

—ছবি পিটিআই।

অনেক মানুষ একসঙ্গে জমায়েত করলেই ভাল লাগে (করোনা) ভাইরাসের। সেটারই সুযোগ নেয় ও— উৎসবের মরসুমে ‘আনন্দপ্রিয়’ মানুষকে সাবধান করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বৈঠকে এই হুঁশিয়ারি দিলেন নীতি আয়োগের সদস্য ভি কে পাল। মন্ত্রকের হিসেব অনুযায়ী গত মাসে যেখানে প্রতি দিন দেশে করোনা আক্রান্ত হচ্ছিলেন ৮০ থেকে ৯০ হাজার মানুষ, সেখানে এ মাসে দিন প্রতি আক্রান্তের সংখ্যাটা অনেকটাই কম। তবে এই ধারা কত দিন বজায় থাকবে, তা নিয়ে সংশয় বাড়ছে। কারণ, সামনেই আসছে উৎসবের মরসুম। অতিমারি সত্ত্বেও দুর্গাপুজো, নবরাত্রি, দীপাবলি, ছট, বড়দিন-সহ বিভিন্ন উৎসবে যে এ বারেও যে প্রচুর জনসমাগম হতে চলেছে, তা প্রস্তুতিতেই ধরা পড়ছে। তার উপরে আসন্ন শীতকালও। যখন ভাইরাসের দাপট সর্বোচ্চ হবে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনও এই নিয়ে সাবধান করে বলেছেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উৎসব পালনের নির্দেশ কোনও ধর্ম বা ঈশ্বর দেননি।

Advertisement

স্বাস্থ্য ও অর্থের দিক থেকে প্রতিটি মানুষের উন্নতির জন্য যে বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রয়োজন তা করোনা অতিমারি প্রমাণ করল বলে আজ মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। পাশাপাশি তাঁর আশা, এই সঙ্কট থেকে বেরোনোর জন্য শীঘ্রই কোনও পথ বাতলাতে পারবে দেশগুলি। যদিও কার্যক্ষেত্রে বিশ্বকে সম্পূর্ণ করোনা মুক্ত করার জন্য এই মুহূর্তে কোনও প্রতিষেধক আনার সম্ভাবনা দেখাতে পারছে না কোনও দেশ। তা আসতে আসতে আগামী বছর। তত দিনে পরিস্থিতি কী হতে পারে তা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগে বিশেষজ্ঞেরা। কেন্দ্রের তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬৩ হাজার ৫০৯ জন। এক দিনে ৭৩০ জনের মৃত্যুতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ১০ হাজার ৫৮৬। মোট ৭২ লক্ষ ৩৯ হাজার ৩৮৯ আক্রান্ত-সহ ভারত করোনা সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে থাকা আমেরিকার তুলনায় সাকুল্যে ৬ লক্ষ ব্যবধানে দাঁড়িয়ে। তবে আশার কথা, সাপ্তাহিক সংক্রমণের হার ৯.২১ শতাংশ থেকে কমে ৬.২৪ শতাংশে (অক্টোবর ৯-১৫) দাঁড়িয়েছে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ জানিয়েছেন, দেশে করোনা আক্রান্তের ৪৭ শতাংশের বয়স ৬০ বছরের কম। আক্রান্তের ৭০ শতাংশ পুরুষ এবং ৩০ শতাংশ মহিলা। ভূষণ বলেছেন, ‘‘তথ্য অনুযায়ী সংক্রমিতের ৩৫ শতাংশের বয়স ৪৫-৬০ বছরের মধ্যে। ১০ শতাংশ ২৬-৪৪ বছরের, ১ শতাংশের বয়স ১৮-২৫ এবং ১ শতাংশ ১৭ বছরের নীচে।

Advertisement

আরও পড়ুন: হাত ধোয়ার পাঠ ভুললে আরও একটি কোভিড ১৯

আরও পড়ুন: অ্যান্টিবডির আয়ু পাঁচ-সাত মাস, দাবি গবেষকদের

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement