ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
নোভেল করোনার প্রকোপে দেশজুড়ে লকডাউন জারি হয়েছে। গৃহবন্দি হয়ে রয়েছেন বহু মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়াল কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে এমনই ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরও।
এ দিন অর্থমন্ত্রী জানান, করোনা আতঙ্কে দেশ জুড়ে যে পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে, তা মাথায় রেখে ২০১৮-’১৯ অর্থবর্ষের আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেরিতে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার ১২ শতাংশের পরিবর্তে ৯ শতাংশ হারে সুদ নেওয়া হবে।
অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ব্যালেন্স না রাখলে এত দিন চার্জ নেওয়া হত, আপাতত সেই ধরনের কোনও চার্জ নেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে আরও জানানো হয়েছে, আগামী তিন মাস ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে যে কোনও ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে টাকা তুলতে পারবেন সাধারণ মানুষ। সে ক্ষেত্রে কোনও চার্জ নেওয়া হবে না।
এ দিন অর্থমন্ত্রী বলেন—
• ২০১৮-’১৯ অর্থবর্ষের আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার দিন ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হল।
• সে ক্ষেত্রে সুদের হার কমিয়ে ১২ থেকে ৯ শতাংশ করা হল।
• টিডিএস রিটার্নের ক্ষেত্রে জমা দেওয়ার শেষ দিন একই থাকবে, তবে দেরিতে জমা দিলে আগে ১৮ শতাংশ হারে সুদ দিতে হত। সেই সুদের হার কমিয়ে ৯ শতাংশ করা হল।
• যে সমস্ত সংস্থার বার্ষিক টার্নওভার ৫ কোটি টাকার কম, তাদের ক্ষেত্রে সুদ নেওয়া হলেও, আয়কর রিটার্নের ক্ষেত্রে কোনওরকম লেট ফি দিতে হবে না তাদের।
• আধার-প্যান সংযুক্তিকরণের সময়ও ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হল।
• নতুন ব্যবসার ক্ষেত্রে সংস্থার নথিভুক্তিকরণের পর এত দিন ছ’মাসের মধ্যে সরকারকে একটা ঘোষণাপত্র জমা দিতে হত, তার মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানো হল।
• আগামী তিন মাস ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে যে কোনও ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে টাকা তুললে কোনও চার্জ দিতে হবে না।
• জরুরি প্রয়োজন না থাকলে ব্যাঙ্কে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। অনলাইনেই লেনদেন করতে পারেন সাধারণ মানুষ।
• অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ব্যালেন্স না রাখলে এত দিন চার্জ নেওয়া হত, আপাতত তা নেওয়া হবে না।