চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়ত। ছবি: সংগৃহীত।
দেশের অগণিত স্বাস্থ্যকর্মীদের মতো করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে শামিল নৌসেনা, বায়ুসেনা এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরাও। অতিমারি পরিস্থিতিতে এই ৩ বাহিনীর মধ্যে এমন অভূতপূর্ব সমন্বয় আগে কখনও দেখা যায়নি। এমনটাই মত চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়তের। তবে করোনাকে হারানোয় উঠেপড়ে লাগলেও সীমান্ত সুরক্ষাতে সমান তৎপর ভারতীয় সেনাবাহিনী। সোমবার সংবাদমাধ্যমের কাছে সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন জেনারেল রাওয়ত।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ঝাপটায় দেশের একাধিক রাজ্যে এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে স্বাস্থ্য পরিষেবা। হাসপাতালগুলিতে কোভিড রোগীদের চিকিৎসায় শয্যা ও অক্সিজেনের হাহাকার চলছে। এই আবহে রীতিমতো ‘যুদ্ধে’ নেমেছেন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। সোমবার একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে জেনারেল রাওয়ত বলেন, “সংক্রমণের সংখ্যা বেশি, এমন রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে চিহ্নিত করে সেখানে অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে। আমরা অক্সিজেন কনসেনট্রেটর কিনে তা ধীরে ধীরে সরবরাহের ব্যবস্থা করব। অন্তত ৫ হাজার অক্সিজেন কনসেনট্রেটর জোগাড়ের বন্দোবস্ত করা যাবে বলে আশা করছি। গ্রামীণ এলাকায় তা সরবরাহের জন্য ৩ বাহিনীই সম্মিলিত ভাবে কাজ করছে। বিদ্যুৎহীন এলাকার জন্য জেনারেটরেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহে বায়ুসেনা যেমন সেনাকে সাহায্য করছে, তেমনই লাদাখেও তারা অতিরিক্ত বাহিনী পৌঁছে দিচ্ছে। ৩ বাহিনীর মধ্যে এ ধরনের সমন্বয় আগে কখনও দেখা যায়নি বলেই মন্তব্য করেন তিনি। কোভিডের মোকাবিলায় আমাদের সমস্ত রসদ ব্যবহারেরই চেষ্টা করা হচ্ছে।”
করোনা-যুদ্ধের পাশাপাশি লাদাখে চিনের মতো ‘শত্রু’-র বিরুদ্ধে তৎপর সেনা। ওই অঞ্চলে মোতায়েন করার আগে সদস্যদের নিভৃতবাস ও নিয়মিত কোভিড টেস্ট করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেনারেল রাওয়ত। তিনি বলেন, “সামনের সারির যোদ্ধাদের মধ্যে যাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে, তা-ও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।”