প্রতীকী ছবি।
বিশ্বের উন্নত দেশগুলির পাশাপাশি করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারের দৌড়ে রয়েছে ভারতীয় সংস্থাগুলিও। দেশের অন্তত দু’টি সংস্থা এই মুহূর্তে করোনার টিকার মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে। ভারতের দাবি, উন্নত দেশগুলির সঙ্গে কার্যত পাল্লা দিয়ে প্রায় একই সময়ে বাজারে আসবে ভারতীয় প্রতিষেধকগুলি। এর কারণ হিসেবে আজ দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় বিজ্ঞানীদের সঙ্গে বিশ্ব ভারতীয় বৈজ্ঞানিক (বৈভব) সম্মেলন অনুষ্ঠানে ভিডিয়ো আলাপচারিতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘‘আমরা বরাবরই দেশীয় ভাবে প্রতিষেধক উৎপাদনে উৎসাহ দিয়ে থাকি।’’
আজ ওই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে করোনা বা ওই ভাইরাসের প্রতিষেধক নিয়ে সরাসরি কিছু না-বললেও মোদী বুঝিয়ে দেন, প্রতিষেধক আবিষ্কার বা উৎপাদনের প্রশ্নে স্বাবলম্বী নীতি নিয়ে এগোচ্ছে ভারত। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত সব সময়েই দেশীয় ভাবে তৈরি প্রতিষেধক ব্যবহারের পক্ষে। ২০১৪ সালের টিকাকরণ পরিকল্পনায় চারটি নতুন প্রতিষেধক অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। তার মধ্যে একটি ছিল দেশীয় ভাবে তৈরি রোটাভাইরাস প্রতিষেধক।” আজকের ওই সম্মেলনের মাধ্যমে ভারত ও বিশ্বের বিজ্ঞান এবং আবিষ্কারের এক সেতু রচনা হল বলেই দাবি করেন মোদী। তাঁর বক্তব্য, সময়ের দাবি মেনে বর্তমান প্রজন্ম যাতে আরও বেশি করে বিজ্ঞান ও গবেষণামূলক কাজে যোগ দেয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। বৈদিক যুগ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বিজ্ঞানের যে ইতিহাস রয়েছে, তা-ও নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরায় জোর দেন তিনি।