Coronavirus in India

কেরল-মহারাষ্ট্রে ৪ হাজারেরও বেশি দৈনিক আক্রান্ত, দেশে সংক্রমণের হারও ফের ঊর্ধ্বমুখী

কেরলের মতোই মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে সাড়ে ২০ লক্ষেরও বেশি আক্রান্ত হয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১১:৪০
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

২৪ ঘণ্টায় সাড়ে ৪ হাজারের বেশির আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেল কেরলে। দৈনিক আক্রান্তের নিরিখে পিছিয়ে নেই মহারাষ্ট্রও। ওই রাজ্যে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছে ৪ হাজারেরও বেশি। দেশ জুড়ে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ১১ হাজারেরও বেশি। সেই সঙ্গে, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার কমলেও বেড়েছে সংক্রমণের হার। তবে দেশে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে।

Advertisement

সোমবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত বুলেটিন অনুয়ায়ী, কেরলে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৬১২ জন। এর পরেই রয়েছে মহারাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় ওই রাজ্যে ৪ হাজার ৯২ জন সংক্রমিত হয়েছেন। কেরলে এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের মোট সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০ লক্ষেরও বেশি। তার মধ্যে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৬৩ হাজার ৭৫২ জন। ওই রাজ্যে করোনার আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ৪ হাজারের কাছাকাছি।

গত কয়েক দিন ধরে কেরলের মতোই মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে সাড়ে ২০ লক্ষেরও বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে সক্রিয় রোগী ৩৭ হাজারেরও বেশি। ওই রাজ্যে ৫১ হাজারেরও বেশি কোভিড রোগী মারা গিয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় শুধুমাত্র মুম্বইতেই নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৪৫ জন।

Advertisement

<script id="infogram_0_0b6c8f35-c339-42fd-8688-3eaee3bf160a" title="দৈনিক নতুন সংক্রমণ" src="https://e.infogram.com/js/dist/embed.js?itZ" type="text/javascript"></script><div style="padding:8px 0;font-family:Arial!important;font-size:13px!important;line-height:15px!important;text-align:center;border-top:1px solid #dadada;margin:0 30px"><a href="https://infogram.com/0b6c8f35-c339-42fd-8688-3eaee3bf160a" style="color:#989898!important;text-decoration:none!important;" target="_blank">দৈনিক নতুন সংক্রমণ</a><br><a href="https://infogram.com" style="color:#989898!important;text-decoration:none!important;" target="_blank" rel="nofollow">Infogram</a></div>
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন।)

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসাব অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশ জুড়ে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৬৬৭। পাশাপাশি, এখনও পর্যন্ত দেশে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১ কোটি ৯ লক্ষ ১৬ হাজার ৫৮৯ জন। যদিও তার মধ্যে ১ কোটি ৬ লক্ষ ২১ হাজার ২২০ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ফলে এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ৩৯ হাজার ৬৩৭।

আক্রান্তের তুলনায় দৈনিক সুস্থ রোগীর সংখ্যা কম হওয়ায় সুস্থতার হারেও প্রভাব পড়েছে। রবিবার মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, দৈনিক সুস্থতার হার ছিল ৯৭.৩১ শতাংশ। তবে সোমবারের রিপোর্ট জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় তা কমে দাঁড়িয়েছে ৯৭.২৯ শতাংশে।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার কমলেও বেড়েছে ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসাব অনুযায়ী, তা হল ২.৪০ শতাংশ। প্রতি দিন যে সংখ্যক কোভিড টেস্ট করা হয়, তার মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকেই ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার বলা হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪ লক্ষ ৮৬ হাজারেরও বেশি কোভিড টেস্ট করা হয়েছে। অন্য দিকে, ওই সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৯ হাজার ৪৮৯ জন।

দেশ জুড়ে দৈনিক সংক্রমণের হার বাড়লেও নিম্নমুখী মৃত্যুর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৯০ জন কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১ লক্ষ ৫৫ হাজার ৭৩২ জন কোভিড রোগীর মারা গিয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।

এ রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের থেকে সুস্থ রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। রবিবার রাতে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১৯০ জন। তুলনায় ২৬২ জন সুস্থ হয়েছেন।

(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement