ছবি: পিটিআই।
অসম সরকার নিজামুদ্দিন ফেরতদের খোঁজ চেয়ে ও তাঁদের সংস্পর্শে কারা এসেছেন জানতে চেয়ে ঘোষণা করার পর রাজ্যের ১০৪ হেল্পলাইনে ২২ হাজার ৯০৭টি ফোন এসেছে। বেশির ভাগ মানুষ নিজামুদ্দিন ফেরতদের খোঁজ দিয়েছেন বা তাঁদের সংস্পর্শে আসার কথা জানিয়েছেন। ১০৪ হেল্পলাইনের নোডাল অফিসার ডেপুটি সেক্রেটারি পমি বরুয়া জানান, সেই সূত্র ধরেই পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীরা নির্দিষ্ট মানুষ ও তাঁদের পরিবারকে খুঁজে বের করে কোয়রান্টিন কেন্দ্রে নিয়ে গিয়েছে। তাঁদের নমুনা সংগ্রেহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
এ দিকে, আজ নলবাড়ির ৩ জন ও দক্ষিণ শালমারার এক জনের দেহে করোনাভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। সকলেই নিজামুদ্দিন ফেরত। এর ফলে রাজ্যে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২০।
গত ৪৮ ঘণ্টায় অসমের ২৯টি জেলা থেকে নিজামুদ্দিনে যাওয়া ৭৩২ জনের তালিকা তৈরি করা হয়। তার মধ্যে থেকে নিজামুদ্দিন এলাকায় থাকলেও জামাতে অংশ না নেওয়া ২২৯ জনকে আলাদা করা হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা মনে করেন, বাকি ৫০৩ জনকে খুঁজে বের করে যোগাযোগ করা, নমুনা সংগ্রহ ও সপরিবার কোয়রান্টিনে রাখার কাজটি সম্ভব হয়েছে ১০৪ হেল্পলাইন টিম, পুলিশ ও সাধারণ মানুষের জন্যই।
আরও পড়ুন: নিজামউদ্দিনে যোগ দেওয়া ৬৪৭ জনের করোনা পজিটিভ, জানাল কেন্দ্র
সংক্রমিতদের পরিবারগুলিকে গত রাতেই গুয়াহাটির সরুসজাই স্টেডিয়ামে তৈরি কোয়রান্টিন সেন্টারে আনা হয়েছে। করোনা আক্রান্ত আট জন ভর্তি আছেন গোলাঘাট সিভিল হাসপাতালে। তাঁরা দোতলার আইসোলেশন ওয়ার্ডের জানলা খুলে অনবরত থুতু ফেলায় নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। আজ স্বাস্থ্যমন্ত্রী, জেলাশাসক গোলাঘাট হাসপাতালে যান। জেলাশাসক রোগীদের রীতিমতো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেন।
অরুণাচলপ্রদেশে নিজামুদ্দিন ফেরত আরও সাত জনের সন্ধান মিলেছে। তাঁদেরও কোয়রান্টিনে রাখা হয়েছে।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)