করোনার প্রকোপকে বিপর্যয় বলে ঘোষণা কেন্দ্রের।
দেশ জুড়ে নোভেল করোনাভাইরাসের প্রকোপকে এ বার বিপর্যয় বলে ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। তবে এই প্রকোপকে বিপর্যয় হিসাবে ঘোষণা করলেও, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে জরুরি অবস্থা ঘোষণা হয়নি এখনও পর্যন্ত। সরকারের যুক্তি, কোভিড-১৯ ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চললেও, এখনও জরুরি অবস্থা ঘোষণার মতো পরিস্থিতি আসেনি। বরং কীভাবে এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, সেই পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে সরকারি এক বিবৃতিতে।
এমনিতে বন্যা, ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগকেই বিপর্যয় বলে ধরা হয়। সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল (এসডিআরএফ) থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়। কিন্তু অতিমারী বা মহামারীর ক্ষেত্রে সেই ধরনের কোনও ব্যবস্থা ছিল না। দেশে নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা যে ভাবে বেড়ে চলেছে, পরিস্থিতি বিবেচনা করে তাই তার প্রকোপকে বিপর্যয় হিসাবেইদেখছে কেন্দ্র। তবে এই সিদ্ধান্ত এককালীন। বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্য যাতে করা যায়, সে কারণেই এই পদক্ষেপ।
শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ ভাইরাসের জেরে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। এ ছাড়াও, করোনায় আক্রান্ত হয়ে যাঁরা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, তাঁদের চিকিৎসার খরচ দেওয়া হবে এসডিআরএফ থেকে। সেই সঙ্গে, বিভিন্ন আইসোলেশন ওয়ার্ডে যাঁরা রয়েছেন তাঁদের খাবার, জল, জামা-কাপড় এবং ওষুধপত্রের খরচও ওই তহবিল থেকেই হবে।প্রয়োজনে অতিরিক্ত করোনা-পরীক্ষাকেন্দ্রও খোলা হবে বলে জানানো হয়েছে ওই বিবৃতিতে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, পুলিশ এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামও কেনা হবে। সরকারি হাসপাতালগুলিতে থার্মাল স্ক্রিনিং-সহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামও বাড়ানো হবে প্রয়োজনে। কিন্তু সব ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট রাজ্যের এসডিআর তহবিলের টাকা খরচ করতে হবে। জাতীয় বিপর্যয় তহবিল (এনডিআরএফ) থেকে কোনওরকম আর্থিক সাহায্য মিলবে না।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিবৃতি।
আরও পড়ুন: শোভনের উদ্দেশে ইঙ্গিত, রত্নাকে দায়িত্ব থেকে সরাল তৃণমূল
আরও পড়ুন: করোনা-আতঙ্ক: ট্রেন-বাস-মেট্রোতে যাতায়াত কতটা নিরাপদ?