Coronavirus in India

রেমডেসিভিয়ার নয় গৃহ নিভৃতবাসে: কেন্দ্র

নির্দেশিকা অনুযায়ী, মৃদু উপসর্গের ক্ষেত্রে স্টেরয়েডযুক্ত ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন নেই।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২১ ০৬:৫৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

উপসর্গহীন ও মৃদু উপসর্গযুক্ত কোভিড রোগীদের গৃহ নিভৃতবাসে থাকার সংশোধিত নির্দেশিকা আজ প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।

Advertisement

এই নির্দেশিকায় গৃহ নিভৃতবাসে রেমডিসিভিয়ার ব্যবহার না করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। তারা জানিয়েছে, এই ধরনের ওষুধ হাসপাতালেই ব্যবহার করতে হবে। নির্দেশিকা অনুযায়ী, মৃদু উপসর্গের ক্ষেত্রে স্টেরয়েডযুক্ত ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন নেই। যদি সাত দিনের বেশি ক্রমাগত জ্বর, বাড়তে থাকা কাশির মতো উপসর্গ থাকে তবে কম ডোজ়ে স্টেরয়েডযুক্ত ওষুধ ব্যবহার করা হবে কি না তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

নির্দেশিকা অনুযায়ী, ৬০ বছরের বেশি বয়সি ও যাঁদের হাইপারটেনশন, ডায়াবিটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার বা কিডনির রোগের মতো কো-মর্বিডিটি আছে তাঁদের গৃহ নিভৃতবাসে রাখার আগে সংশ্লিষ্ট মেডিক্যাল অফিসারের অনুমতি প্রয়োজন। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেলে বা শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক বা নজরদারি দলের সঙ্গে যোেগাযোগ করতে হবে। ওই রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন হতে পারে। নির্দেশিকা অনুযায়ী, গৃহ নিভৃতবাসে থাকা রোগীরা দিনে দু’বার গরম জলে কুলকুচি করতে বা ভাপ নিতে পারেন। ৬৫০ মিলিগ্রামের প্যারাসিটামল দিনে চার বার খেয়েও জ্বর নিয়ন্ত্রণে না আসে তাহলে সংেশ্লিষ্ট চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তিনি অন্য ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন। পাঁচ দিন পরেও জ্বর থাকলে ইনহেলারের মাধ্যমে ‘বুডেসোনাইড’ দেওয়ার কথা ভাবা যেতে পারে।

Advertisement

নির্দেশিকা অনুযায়ী, কোভিড পজ়িটিভ হলেও যাঁদের কোনও উপসর্গ নেই ও ঘরের আবহাওয়ায় যাঁদের রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ ৯৪ শতাংশের বেশি তাঁদের উপসর্গহীন রোগী বলা যেতে পারে। যে সব রোগীর শ্বাসযন্ত্রের উপরের দিকে সংক্রমণের লক্ষণ বা জ্বর থাকলেও শ্বাসকষ্ট নেই ও ঘরের আবহাওয়ায় রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ ৯৪ শতাংশের বেশি তাঁদের মৃদু উপসর্গযুক্ত বলা যেতে পারে। গৃহ নিভৃতবাসের আগে সংশ্লিষ্ট মেডিক্যাল অফিসার স্থির করবেন কোনও রোগী এই দুই শ্রেণিতে পড়ছেন কি না।

সংশ্লিষ্ট রোগীর বাড়িতে গৃহ নিভৃতবাসের উপযুক্ত ব্যবস্থা থাকতে হবে। যিনি রোগীর দেখাশোনা করবেন (কেয়ারগিভার) তাঁর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সরাসরি যোগাযোগ থাকতে হবে। কেয়ারগিভার ও যাঁরা রোগীর সংস্পর্শে আসবেন তাঁদের প্রোটোকল মেনে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন প্রোফিল্যাক্লিস খেতে হবে।

রোগীকে নির্দিষ্ট ঘরে থাকতে হবে। অন্যদের, বিশেষত বয়স্ক ও যাঁদের কো-মর্বিডিটি আছে তাঁদের সংস্পর্শে আসতে দেওয়া চলবে না। রোগীর ঘরে উপযুক্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। রোগীকে সব সময়ে ত্রিস্তরীয় মেডিক্যাল মাস্ক পরে থাকতে হবে। কেয়ারগিভার যদি ঘরে ঢোকেন তবে তাঁকে ও রোগীকে এন৯৫ মাস্ক পরতে হতে পারে। আট ঘণ্টা ব্যবহারের পরে বা ভিজে বা নষ্ট হয়ে গেলে মাস্ক বাতিল করতে হবে। বাতিলের আগে মাস্ককে ১ শতাংশ সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট দিয়ে জীবাণুমুক্ত করা প্রয়োজন।

এইচআইভি পজ়িটিভ, ক্যানসার রোগীদের গৃহ নিভৃতবাসে না রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।

গৃহ নিভৃতবাসে থাকা রোগীদের বিশ্রাম নিতে ও বারবার জল ও অন্য উপযুক্ত পানীয় খেতে বলা হয়েছে। যাঁদের কো-মর্বিডিটি আছে তাঁদের ওই কো-মর্বিডিটির ওষুধও খেতে হবে।

গৃহ নিভৃতবাসে থাকা রোগীরা উপসর্গ দেখা দেওয়ার বা কোভিড পজ়িটিভ হওয়ার ১০ দিন পরে নিভৃতবাস থেকে বেরোতে পারবেন। তবে অন্তত তিন দিন জ্বর না থাকলে তবেই এই পদক্ষেপ করা হবে। গৃহ নিভৃতবাস শেষ হওয়ার পরে ফের কোভিড পরীক্ষার প্রয়োজন নেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement