গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৭ লক্ষ ৩৩ হাজার ৪৪৯ জনের। গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।
মঙ্গলবার ৫৫ হাজারে নেমেছিল। কিন্তু বুধবার সকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান জানাল, দেশে দৈনিক সংক্রমণ আবার ৬০ হাজার পার করেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬০ হাজার ৯৬৩ জন। সুতরাং সরকারি হিসেবেও ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৩ লক্ষ পেরিয়ে গেল।
গত ২৪ ঘণ্টার হিসেব যোগ করে ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৩ লক্ষ ২৯ হাজার ৬৩৮। অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৬ লক্ষ ৪৩ ৯৪৮ জন, অর্থাৎ মোট আক্রান্তের ২৭.৬৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গিয়েছেন ৮৩৪ জন। সুতরাং বুধবার সকাল পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৬ হাজার ৯১ জন।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। )
তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মতে আশার খবর হল, বুধবার কিন্তু দেশে সুস্থতার হারও ৭০ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছে। আর মৃত্যুহার নেমে এসেছে ১.৯৮ শতাংশে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫৬ হাজার ১১০ জন। এটা রেকর্ড।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
মন্ত্রক জানিয়েছে, জুলাইয়ের গোড়ার দিকে দৈনিক সুস্থতার সংখ্যাটা ঘোরাফেরা করত ১৫ হাজারের আশপাশে। অগস্টের গোড়ায় সেটাই ৫০ হাজার পার করে গিয়েছে। দেশে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার মোট সংখ্যা এখন ১৬ লক্ষ ৩৯ হাজার ৫৯৯। মন্ত্রকের কথায়, ‘‘ক্রমশই বেশি সংখ্যক রোগী সুস্থ হচ্ছেন, হাসপাতাল এবং হোম আইসোলেশন থেকে ছাড়া পাচ্ছেন। সে কারণেই সুস্থতার সংখ্যা ১৬ লাখ পার করতে পেরেছে। সুস্থতার হারও ৭০.৩৮ শতাংশে পৌঁছেছে। মৃত্যুহারেও অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারত ভাল অবস্থানে (১.৯৮ শতাংশ) রয়েছে।’’
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
সুস্থতার ক্রমবর্ধমান হারের পিছনে করোনা পরীক্ষার হার বাড়াকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে মন্ত্রক। মঙ্গলবার দেশে ৭ লক্ষ ৩৩ হাজার ৪৪৯ জনের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। এটাও রেকর্ড। এই নিয়ে মোট ২ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষের পরীক্ষা হল দেশে। প্রতি দশ লক্ষে পরীক্ষার হার এখন ১৮ হাজার ৮৫২।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)