চলছে করোনার স্ক্রিনিং। প্রতীকী ছবি
দাগী অপরাধী নয়। নিতান্তই সাদামাটা সাধারণ নাগরিক। নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া সেই ‘আম আদমি’র খোঁজেই ঘুম উড়েছে ম্যাঙ্গালুরু পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্তাদের। ওই ব্যক্তির বাড়িতে ২৪ ঘণ্টার নজরদারি চলছে। সম্ভাব্য যেখানে যেখানে যেতে পারেন, সেই সব জায়গার পুলিশকেও সতর্ক করা হয়েছে। আর সেই খবর ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্কিত শহরবাসীও।
কারণ আর কিছুই নয়, নোভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের সন্দেহ। ওই ব্যক্তি গতকাল রবিরার দুবাই থেকে ম্যাঙ্গালুরু বিমানবন্দরে নামেন। বিমানবন্দরে স্ক্রিনিংয়ের পর ম্যাঙ্গালুরু জেলা হাসপাতালে যেতে বলা হয় তাঁকে। কিন্তু তিনি হাসপাতালে না গিয়ে উধাও হয়ে গিয়েছেন। তার পর থেকেই তোলপাড় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য মহলে।
কর্নাটক স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির কাশি, হাঁচির মতো উপসর্গ ছিল। তাঁকে জেলা হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য যেতে বলা হয়। তাঁকে ১৪ দিনের জন্য ‘কোয়ারেন্টাইন’ বা আলাদা থাকতে হবে কি না, সেটা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানালে সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছিল। কিন্তু ওই হাসপাতালে তিনি যাননি। তাঁকে খুঁজে পেতে সব রকম চেষ্টা করা হচ্ছে। ওই ব্যক্তি বেপাত্তা হয়ে যাওয়ার পরেই পুলিশকে গোটা বিষয় জানানো হয়েছে। পুলিশও তাঁর বাড়ির পাশে নজরদারি রেখেছে। এক পুলিশকর্তা বলেন, ওই ব্যক্তিকে খুঁজে বার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হবে।
আরও পড়ুন: রিপোর্ট নেগেটিভ, মুর্শিদাবাদে সৌদি ফেরতের মৃত্যু করোনায় নয়
আরও পড়ুন: দেশে আক্রান্ত বেড়ে ৪৩, এ বার কেরলে ৩ বছরের শিশুর দেহে মিলল ভাইরাস
সারা দেশে এখনও পর্যন্ত করোনা ভাইরাস নিশ্চিত হয়েছে ৪৩ জনের। মোট ১০০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ। দেশে আক্রান্তের তালিকায় শেষ সংযোজন কেরলের ৩ বছরের এক শিশু এবং ৬৩ বছরের এক বৃদ্ধা। রবিবারই তাঁদের ‘করোনা পজিটিভ’ রিপোর্ট মিলেছে। কেরলের ওই শিশু মা-বাবার সঙ্গে ইতালি গিয়েছিল। শনিবার দেশে ফিরেছে। অন্য দিকে জম্মুর ওই বৃদ্ধা সম্প্রতি ইরানে গিয়েছিলেন।