সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মহড়া জবলপুর রেলস্টেশনে। ছবি- ভিডিয়ো থেকে।
বিমানবন্দরের মতো এ বার রেল স্টেশনেও হয়তো দু-তিন ঘণ্টা আগে পৌঁছতে হবে ট্রেন ধরার জন্য। লকডাউন পরবর্তী সময়ে হয়তো এমনটাই হতে চলেছে। তার পরীক্ষামূলক প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে কোথাও কোথাও। লকডাউন পরবর্তী সময়েও সামাজিক দূরত্ব রক্ষার বিষয়টি যে এই ধরনের জনবহুল জায়গায় বিশেষ গুরুত্ব পাবে তা স্পষ্ট।
জবলপুর রেলস্টেশনে এই ধরনের একটি মহড়া হয়েছে সম্প্রতি। টিকিট কাটার পর কী ভাবে এবং কোন পথে পল্যাটফর্মে ঢুকবেন যাত্রীরা তারও একটা নমুনা ভিডিয়ো সামনে এসেছে। স্টেশনে ট্রেন ধরতে গেলে কমপক্ষে ২-৩ ঘণ্টা আগে হাজির হতে হবে যাত্রীদের। স্টেশনে ঢোকার জন্য একে অপরের থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। প্ল্যাটফর্মে ঢোকার আগে হ্যান্ড স্যানিটাইজারে হাত পরিষ্কার করে নিতে হবে। তার পরের ধাপ থার্মাল স্ক্রিনিং হবে। সব কিছু ঠিক থাকলে তার পর প্ল্যাটফর্মে পা রাখার অনুমতি মিলবে।
রেলস্টেশন বা বিমানবন্দরগুলোতে যাত্রীদের ভিড় হয়। এতে সংক্রমণের প্রবণতা বহু গুণ বেড়ে যায়। প্রথমে বিমানবন্দরগুলোতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নানা বন্দোবস্ত শুরু হয়। এক যাত্রীর থেকে অন্য যাত্রী দূরত্ব বজায় রাখার জন্য লাইনে দাঁড়ানোর জায়গা চিহ্নিত করে দেওয়া হয়। পরবর্তী কালে পরিষেবা চালু হলে এই নিয়মই বহাল রাখবেন রেল ও বিমানবন্দরের কর্তৃপক্ষরা।
আরও পড়ুন: ইচ্ছাকৃত ভাইরাস ছড়ালে ‘ফল ভুগতে হবে’ চিনকে, হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্তের মৃত্যু, এসএসকেএমে ৮ চিকিৎসক-সহ ১৪ জন কোয়রান্টিনে
এই মুহূর্তে গোটা দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে পাঁচশোরও বেশি। করোনার সংক্রমণ যাতে দ্রুত হারে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য লকডাউন চালু করা হয়েছে গোটা দেশে। দেশবাসীকে বার বার সতর্ক করা হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব বাজায় রাখতে, ভিড় বা জমায়েত না করতে।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)