ছবি: সংগৃহীত।
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইতে এ বার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ। কোভিড রোগীদের চিকিৎসায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় দেশের একাধিক রাজ্যে অক্সিজেন সরবরাহের কাজ শুরু করেছে রেল। সোমবার, ১৯ এপ্রিল থেকে ‘অক্সিজেন এক্সপ্রেস ট্রেন’-এর মাধ্যমে দিল্লি, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশের মতো দেশের একাধিক রাজ্যে অক্সিজেন জোগান দেওয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ।
রবিবার রেলের তরফে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সোমবার থেকে মুম্বই থেকে বিশাখাপত্তনম, লখনউ থেকে বোকারো হয়ে এখনও পর্যন্ত ট্রেনের ১০টি ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়া হয়েছে দেশের বিভিন্ন শহরে। এ ছাড়া, ৯টি ট্যাঙ্কার আরও কয়েকটি শহরে পৌঁছবে।
দিল্লি, মহারাষ্ট্র, কর্নাটকের মতো একাধিক জায়গার হাসপাতালগুলিতে কোভিড রোগীদের চিকিৎসায় অক্সিজেনের চরম সঙ্কট দেখা দিয়েছে। শুক্রবার দিল্লির অরবিন্দ কেজরীবাল সরকার রেলের কাছে অক্সিজেন সরবরাহের আর্জি জানালে তাতে সাড়া দেয় রেল। রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান সুনীত শর্মা জানিয়েছেন, দিল্লি সরকারের আগে একই আর্জি জানিয়েছিল উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্র সরকার। এই সমস্ত রাজ্যেই অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। সুনীত আরও জানিয়েছেন, প্রতিটি ‘অক্সিজেন এক্সপ্রেস ট্রেন’-এর এক একটি ট্যাঙ্কার প্রায় ১৬ টন করে মেডিক্যাল অক্সিজেন বহনে সক্ষম। সংবাদমাধ্যমের কাছে সুনীত বলেছেন, “অক্সিজেনের আবেদন পাওয়ামাত্রই দিল্লি সরকারকে জানানো হয়েছে যে তা বহনের জন্য ট্রাক তৈরি রাখুন।”
ওড়িশার রৌরকেল্লা থেকে ইতিমধ্যেই দিল্লিতে অক্সিজেন সরবরাহ করেছে রেল। এ ছাড়া, মহারাষ্ট্রের নাগপুর বা উত্তরপ্রদেশের লখনউতেও তা পৌঁছে গিয়েছে।
রেল সূত্রে খবর, ‘অক্সিজেন এক্সপ্রেস ট্রেন’গুলি প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৬৫ কিলোমিটার গতিতে অক্সিজেন নিয়ে সারাদিন ধরে ছুটছে। এই ট্রেনগুলির জন্য বিশেষ পরিবহণ হার এবং বহনক্ষমতা নিয়ে বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে। আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছে রেল। এ ছাড়া, এর জন্য কোনও সারচার্জ আদায় করা হবে না। অক্সিজেন সরবরাহের কাজে ৫ ঘণ্টার জন্য বিনামূল্যে মাল ওঠানামা করতে পারবে ট্রেনগুলি। পাশাপাশি, পণ্য এবং পরিষেবা করেও ছাড় দিয়েছে রেল। ট্রেনের চালক-সহ ২ জন অক্সিজেন বহনকারী তা ট্রাকে তোলার জন্য রেলের সেকেন্ড ক্লাস টিকিট পাবেন বলেও জানিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ।