Coronavirus in India

করোনা সংক্রমণে ফের রেকর্ড, মৃত্যুতেও

চতুর্থ দফার লকডাউন শেষ হওয়ার আগের দিনে রোগী বেড়েছে প্রায় ৮ হাজার (৭৯৬৪ জন)।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০২০ ০৫:৪১
Share:

সুস্থতার হারও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৪.৫১ শতাংশ বেড়ে হয়েছে মোট ৪৭.৪০ শতাংশ। ছবি: পিটিআই।

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড সংখ্যক করোনা রোগীর মৃত্যু। রেকর্ড নতুন সংক্রমিতের সংখ্যাতেও, যা এখন কার্যত রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Advertisement

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসেব অনুযায়ী, গত কালই প্রথম বার সারা দেশে নতুন রোগীর সংখ্যাটা এক দিনের মধ্যে সাত হাজার পেরিয়েছিল। আজ, চতুর্থ দফার লকডাউন শেষ হওয়ার আগের দিনে রোগী বেড়েছে প্রায় ৮ হাজার (৭৯৬৪ জন)। গত কাল থেকে আজ পর্যন্ত মারা গিয়েছেন ২৬৫ জন। মোট মৃতের সংখ্যা ৪৯৭১।

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সাংবাদিক বৈঠক হয়নি আজ। তবে বিবৃতি দিয়ে তারা বলেছে, গত কাল থেকে ১১,২৬৪ জন সেরে উঠেছেন। এটাও রেকর্ড। ফলে সুস্থতার হারও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৪.৫১ শতাংশ বেড়ে হয়েছে মোট ৪৭.৪০ শতাংশ। অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা অনেকটাই কমেছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: ট্রেনে এত মৃত্যু! গয়ালকে সরান, দাবি কংগ্রেসের

গত দু’সপ্তাহে রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছিল ১৩.৩ দিনে। কিন্তু গত তিন দিনে সেই হার নেমে হয়েছে ১৫.৪ দিন। মৃত্যুর হারও কমে হয়েছে ২.৮৬ শতাংশ। গত কাল সারা দেশে ১.২৬ লক্ষেরও বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।

আরও পড়ুন: মোদী ২-এর বর্ষপূর্তিতে জুটল ফাঁপা ভরসাবার্তা

যদিও আজ শুধু সারা দেশে নয়, মহারাষ্ট্র (২০৯৮), তামিলনাড়ু (৮৭৪), তেলঙ্গানা (১৬৯) ও অসমে (১৭৭) রেকর্ড সংখ্যক রোগী বেড়েছে। মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ৬২ হাজার পেরিয়েছে। কেরলে আজ অষ্টম রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ৬৫ বছরের ওই বৃদ্ধ সম্প্রতি শারজা থেকে ফেরেন। এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের ২ কেবিন ক্রু, ২ জন জেলবন্দি ও ১ স্বাস্থ্যকর্মী-সহ কেরলে নতুন সংক্রমিত ৬২ জন। এঁদের মধ্যে ৫৬ জনই অন্য দেশ বা অন্য রাজ্য থেকে ফিরেছিলেন। সংক্রমণের নিরিখে দিল্লি দেশে চতুর্থ স্থানে থাকলেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল জানিয়েছেন, লকডাউন করোনার সমাধান নয়। তাই তাঁর সরকার দীর্ঘস্থায়ী লকডাউনের পথে হাঁটবে না। তিনি বলেছেন, ‘‘ভয়ের কিছু নেই। আমরা তৈরি আছি। করোনার থেকে আমরা চার কদম এগিয়ে।’’

আইসিএমআরের তরফে প্রকাশিত ‘ইন্ডিয়ান জার্নাল অব মেডিক্যাল রিসার্চ’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ২২ জানুয়ারি থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ৪০,১৮৪ জনের করোনা ধরা পড়েছিল। তাঁদের মধ্যে ২৮.১ শতাংশই ছিলেন উপসর্গহীন। ২৫.৩ শতাংশ সরাসরি করোনা পজ়িটিভদের সংস্পর্শে এসেছিলেন, যেমন এসেছিলেন ২.৮ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মী। মোট আক্রান্তের মধ্যে স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন ৫.২ শতাংশ। সমীক্ষাটির অন্যতম গবেষক তথা আইসিএমআরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিয়োলজি-র ডিরেক্টর মনোজ মুরহেকর বলেন, ‘‘উপসর্গহীন রোগীর সংখ্যাটা ওই ২৮.১ শতাংশেরও বেশি হতে পারে। সেটাই আমাদের চিন্তা।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement