Coronavirus in India

Corona Vaccination: আবার কোটি পার দৈনিক টিকাকরণে

আজ আবার সেই মাইলফলক স্পর্শ করল দেশ। টিকাকরণের এই সাফল্যে স্বভাবতই আপ্লুত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়া।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৭:২১
Share:

প্রতীকী ছবি।

তিন দিনের ব্যবধানে টিকাকরণের ক্ষেত্রে আবার এক কোটির গণ্ডি অতিক্রম করল ভারত। কোউইন অ্যাপের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আজ দেশে এক কোটি আট লক্ষের বেশি মানুষ প্রতিষেধক নিয়েছেন। দেশের সার্বিক করোনা পরিস্থিতিও মোটের উপর স্বস্তিদায়ক। টানা পাঁচ দিন ৪০ হাজারের ঘরে থাকার পরে আজ দৈনিক সংক্রমণ বেশ খানিকটা কমেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ৩০ হাজার ৯৪১ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় উল্লেখযোগ্য ভাবে সংক্রমণ কমেছে কেরলে।

Advertisement

গত শুক্রবার, ২৭ অগস্ট প্রথমবার এক কোটির বেশি দেশবাসীকে করোনা প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছিল। আজ আবার সেই মাইলফলক স্পর্শ করল দেশ। টিকাকরণের এই সাফল্যে স্বভাবতই আপ্লুত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়া। নিজের টুইটার হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন, ‘প্রতিষেধক প্রদানে পাঁচ দিনের মধ্যে দু’বার এক কোটির গণ্ডি পার করা গিয়েছে। সন্ধে ৬টা পর্যন্ত এক কোটি ৯ লক্ষ মানুষ প্রতিষেধক পেয়েছেন। এখনও পর্যন্ত দৈনিক টিকাকরণে এটাই সর্বোচ্চ। তবে আজ মোট কত জন টিকা পেয়েছেন সেই গণনা এখনও শেষ হয়নি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দেশ করোনার বিরুদ্ধে
লড়াই করছে’। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক আজ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত করোনা প্রতিষেধকের ৬৫ কোটি ডোজ় দেওয়া হয়েছে।

দৈনিক করোনা সংক্রমণের পাশাপাশি, দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫০ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। কেরলে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ কম হওয়ায় দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাও কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণের ওই রাজ্যে সাড়ে ১৯ হাজারের বেশি মানুষ কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন।

Advertisement

করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতেই ১ সেপ্টেম্বর, আগামিকাল থেকে সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ঘোষণা করেছিল তেলঙ্গানা সরকার। এর পরেই ওই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে তেলঙ্গানা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা হয়। আজ আদালত জানিয়েছে, কেজি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির কোনও ছাত্রছাত্রীকে যেন স্কুলে সশরীরে হাজির হতে বাধ্য না-করা হয়। এই মর্মে রাজ্যের সব সরকারি এবং বেসরকারি স্কুলগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। রাজ্যকে এ বিষয়ে হাই কোর্ট একটি হলফনামাও জমা দিতে বলেছে। ফলে আগামিকাল থেকে রাজ্যে স্কুল ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সরকারি সিদ্ধান্ত স্থগিত হয়ে গেল।

গত কাল সংবাদ সংস্থা এনএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আইসিএমআরের সংক্রামক রোগ বিভাগের প্রধান সমীরণ পাণ্ডা জানিয়েছেন, যে সব রাজ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব তেমন ভাবে দেখা যায়নি, এখন সেখানে সংক্রমণ বাড়ছে। এটা তৃতীয় ঢেউয়ের লক্ষণ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement