Corona Death

Corona Death: মৃত্যুর শংসাপত্রে কখন লেখা হবে কোভিড, কখন নয়, নির্দেশিকা দিয়ে জানাল আইসিএমআর

কোনও করোনা-আক্রান্ত রোগী যদি বিষক্রিয়া বা দুর্ঘটনায় মারা যান, বা আত্মঘাতী হন, সে ক্ষেত্রে সেটি কোভিডে মৃত্যু হিসেবে ধার্য করা হবে না।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৬:১২
Share:

কোভিডে মৃত্যুর শংসাপত্র নিয়ে ধন্দ কাটাতে একটি নির্দেশিকা তৈরির প্রস্তাব বরাবরই ছিল কেন্দ্রের কাছে। ফাইল চিত্র।

মৃত্যুর শংসাপত্রে মৃত্যুর কারণ কখন কোভিড লেখা হবে এবং কখন লেখা হবে না, তা স্পষ্ট করতে একটি নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য মন্ত্রক ও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)। সুপ্রিম কোর্টের কাছে পেশ করা এই নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার ৩০ দিনের মধ্যে যদি রোগীর মৃত্যু হয়, সে ক্ষেত্রে মৃত্যুর কারণ অবশ্যই কোভিড ধরা হবে।

Advertisement

কোভিডে মৃত্যুর শংসাপত্র নিয়ে ধন্দ কাটাতে একটি নির্দেশিকা তৈরির প্রস্তাব বরাবরই ছিল কেন্দ্রের কাছে। এ বিষয়ে সরকারি নির্দেশিকা তৈরিতে দেরি হওয়ার জন্য সম্প্রতি কেন্দ্রকে তিরস্কার করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। তার দিন দশেকের মাথাতেই হলফনামা পেশ করল স্বাস্থ্য মন্ত্রক। নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, কোনও হাসপাতাল বা চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি থাকাকালীন আরটি-পিসিআর টেস্ট, মলিকিউলার টেস্ট, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট বা অন্য কোনও পরীক্ষায় যদি করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে, তা হলেই রোগীর কোভিড পজ়িটিভ ধরা হবে।

এ-ও লেখা হয়েছে— কোনও করোনা-আক্রান্ত রোগী যদি বিষক্রিয়া বা দুর্ঘটনায় মারা যান, বা আত্মঘাতী হন, সে ক্ষেত্রে সেটি কোভিডে মৃত্যু হিসেবে ধার্য করা হবে না।

Advertisement

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘‘কোনও রোগী হাসপাতাল বা বাড়িতে মারা গেলে যদি জন্ম-মৃত্যু নথিবদ্ধকরণ আইনে যথাযথ মেডিক্যাল শংসাপত্র দেওয়া থাকে, কোভিডে মৃত্যু বলে ধরা হবে।’’ আইসিএমআর-এর গবেষণা রিপোর্ট অনুযায়ী, ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে কোভিড পজ়িটিভ ধরা পড়ার ২৫ দিনের মধ্যে রোগীর মৃত্যু হতে দেখা যাচ্ছে।

এই পর্যবেক্ষণকে গুরুত্ব দিয়ে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘‘করোনা পরীক্ষা বা চিকিৎসায় যে দিন কোভিড-১৯ ধরা পড়বে, তার ৩০ দিনের মধ্যে রোগীর মৃত্যু হলে, মৃত্যুর কারণ কোভিড ধরা হবে। এ ক্ষেত্রে যদি হাসপাতাল বা কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফেরার পরে রোগীর মৃত্যু হয়, তাতেও মৃত্যুর কারণ কোভিড-ই ধরা হবে।’’

আবার কোনও রোগী যদি করোনা সংক্রমণ নিয়ে এক মাসের বেশি হাসপাতালে ভর্তি থাকেন এবং তার পরে মারা যান, সে ক্ষেত্রেও মৃত্যুর কারণ কোভিড উল্লেখ করা হবে।

এ ছাড়াও একটি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে নির্দেশিকায়। মৃত ব্যক্তির পরিবার যদি শংসাপত্র (মেডিক্যাল সার্টিফিকেশন অব কজ় অব ডেথ) নিয়ে সন্তুষ্ট না হয়, সে ক্ষেত্রে তারা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। এ জন্য প্রশাসনিক স্তরে একটি কমিটি গঠন করা হবে। ওই কমিটি নির্দিষ্ট পরিবারের অভিযোগ খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবে।

এরই মধ্যে সুখবর, দেশে কোভিড সংক্রমণ আরও একটু কমল। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২৮,৫৯১ জন। গত কালের থেকে ১৪ শতাংশ কম। করোনা পরীক্ষায় পজ়িটিভ রিপোর্ট আসার হার কমে ১.৮৭ শতাংশ হয়েছে। গত ১৩ দিন ধরে এই ‘পজ়িটিভিটি রেট’ ৩ শতাংশের নীচে। তবে কেরলের পরিস্থিতি এখনও চিন্তার। সাড়ে ২৮ হাজার দৈনিক সংক্রমণের মধ্যে ২০,৪৮৭ জনই কেরলের বাসিন্দা। গত ২৪ ঘণ্টায় কেরলে মৃতের সংখ্যা ১৮১।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement