ছবি: সংগৃহীত।
করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় সারা দেশে কাল, রবিবার প্রস্তাবিত ‘জনতা কার্ফু’র কথা মাথায় রেখে প্রচুর ট্রেন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিল রেল। কার্যত আজ, শনিবার মাঝরাত থেকে রবিবার রাত ১০টার মধ্যে কোনও দূরপাল্লার মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন যাত্রাই শুরু করবে না বলে রেল বোর্ডের তরফে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। ওই সময়সীমার আগে যে-সব ট্রেন ছাড়বে, শুধু সেগুলিই সচল থাকবে বলে জানিয়েছে রেল।
চিকিৎসা-সহ বিভিন্ন জরুরি প্রয়োজনে যাতায়াতের কথা মাথায় রেখে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ট্রেনকে ছাড় দেওয়ার অধিকার সংশ্লিষ্ট জ়োনকে দিয়েছে রেল বোর্ড। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী মেল, এক্সপ্রেস এবং প্যাসেঞ্জার ট্রেন মিলিয়ে সারা দেশে কমবেশি ৩৭০০ ট্রেন বাতিল হতে পারে বলে রেল সূত্রের খবর।
মুম্বই, দিল্লি, কলকাতা, চেন্নাই ও সেকন্দরাবাদে শহরতলির ট্রেন চালানো হবে শুধু জরুরি প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে। কলকাতায় হাওড়া ও শিয়ালদহ থেকে দৈনিক যত ট্রেন ছাড়ে, তার সংখ্যা অনেকটাই কমে আসবে বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা-যুদ্ধে কেরলের মন্ত্র ‘ব্রেক দ্য চেন’
পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেল সূত্রের খবর, সপ্তাহের বিভিন্ন কাজের দিনের তুলনায় রবিবার শহরতলির ট্রেনের সংখ্যা অনেক কম থাকে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ওই সংখ্যা আরও কমিয়ে আনা হতে পারে। তবে হাওড়া ও শিয়ালদহ থেকে কোন কোন ট্রেন বাতিল করা হচ্ছে, শুক্রবার রাত পর্যন্ত তা জানাতে পারেননি রেলকর্তারা। মেট্রো-কর্তৃপক্ষও জানান, রবিবার অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক কম ট্রেন চলে। প্রাণঘাতী ভাইরাসের দাপটে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ট্রেন আরও কমানো হবে কি না, সেই বিষয়ে শুক্রবার রাত পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি মেট্রো-কর্তৃপক্ষ।
স্টেশনে লোকজনের ভিড় কমাতে গত কয়েক দিনে বিভিন্ন পদক্ষেপ করেছে রেল। তবে এত বিপুল সংখ্যায় ট্রেন বাতিল এই প্রথম। এর পাশাপাশি কাল, রবিবার থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ট্রেনে ও স্টেশনে খাবার বিক্রির কাজকর্মের বেশির ভাগটাই গুটিয়ে আনছে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কেটারিং অ্যান্ড টুরিজ়ম কর্পোরেশন (আইআরসিটিসি)। ওই সংস্থার অধীনে থাকা বিভিন্ন স্টেশনের ফুড প্লাজ়া, জন আহার, রিফ্রেশমেন্ট রুম এবং সেল কিচেন রবিবার থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। চা-কফি, ফাস্টফুডের কিছু দোকান ছাড়া অন্য সব খাবারের দোকান বন্ধ থাকবে বলে সংস্থা-কর্তৃপক্ষের নির্দেশে জানানো হয়েছে। রাজধানী, দুরন্ত ও শতাব্দী এক্সপ্রেস ছাড়া অন্য সব ট্রেনে খাবার তৈরি এবং পরিবেশন বন্ধ থাকবে। ওই সব ট্রেনের জন্য নির্বাচিত কিছু বেস কিচেন খোলা রাখা হবে। দূরপাল্লার মেল, এক্সপ্রেস ট্রেনে শুধু চা ও কফি দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে।