দিল্লিতে চোখ রাখলে মৃত্যু মিছিল আর হাহাকার ছাড়া আর কিছু চোখে পড়ে না। কোভিডে একের পর এক মানুষের প্রাণ যাচ্ছে। সে খবর সারা বিশ্বের কাছে পৌঁছে দিতে, সকলকে অতিমারির বিরুদ্ধে সচেতন করে তুলতে নিরন্তর যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন সাংবাদিকরা।
খবর পরিবেশন করতে গিয়ে এখনও পর্যন্ত শতাধিক সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে। সেই সমস্ত সাংবাদিককে শ্রদ্ধা জানাতে এক অভিনব পথ নিল ভারতের প্রেস ক্লাব।
৩ মে থেকে অতিমারি পরিস্থিতির ছবি তুলে টুইট করতে শুরু করেছে প্রেস ক্লাব। পরিস্থিতি যে কতটা ভয়াবহ সেই সমস্ত ছবি থেকেই তার প্রমাণ মেলে। এখনও টুইটারে যে সমস্ত ছবি পোস্ট করেছে তারা, সেগুলি নিযেই এই প্রতিবেদন।
রোগীর সেবা করতে গিয়ে এবং চোখের সামনে অতিমারির ভয়াবহতা দেখে শারীরিক এবং মানসিক ভাবে ক্লান্ত দুই স্বাস্থ্য কর্মী। চিত্র সাংবাদিক অমরজিৎ সিংহের তোলা ছবি।
রোগীর তুলনায় চিকিৎসক, নার্সদের সংখ্যা অনেক কম। দিল্লির এক হাসপাতালে তাই এক রোগীকে পালস্ অক্সিমিটার দিয়ে নিজেকেই অক্সিজেন লেভেল পরীক্ষা করে নিতে হচ্ছে। চিত্র সাংবাদিক অমরজিৎ সিংহের তোলা ছবি।
হার মেনেছেন কোভিড-যুদ্ধে। পরিবার-পরিজনকে ছেড়ে এ বার শেষযাত্রার পালা। চিতার জন্য অপেক্ষমান তিন মৃতদেহ। চিত্র সাংবাদিক অমরজিৎ সিংহের তোলা ছবি।
কারও দেহ দাউ দাউ করে জ্বলছে চিতায়, সংক্রমণ রুখতে পিপিই কিট পরে কর্মীরা তখন অন্য দেহ প্রস্তুত করছেন দাহকার্যের জন্য। দিল্লির এক কোভিড শ্মশানে ছবিটি তুলেছেন অমরজিৎ সিংহ।
হাসপাতালে ঠাঁই মেলেনি। অ্যাম্বুল্যান্সের বিছানাই ভরসা তাঁর। পাশে বসে সেবা করছেন পরিজন। ছবিটি চিত্র সাংবাদিক অমল কে সুধীরের তোলা।
শেষবারের মতো আপনজনের মুখ দেখারও সুযোগ হয়নি। আপাদমস্তক প্ল্যাস্টিকে মোড়া মৃতদেহ চিতায় সাজানো হয়ে গিয়েছে, ভস্ম হওয়ার অপেক্ষা মাত্র। ছবিটি চিত্র সাংবাদিক অমল কে সুধীরের তোলা।
থরে থরে জ্বলছে চিতা। তাঁরই ফাঁক গলে এগিয়ে চলেছেন এই দুই ব্যক্তি। হয়তো কিছু দূরে আপনজনের চিতার কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন তাঁরা। ছবিটি তুলেছেন চিত্র সাংবাদিক হেমন্ত রাওয়ত।
স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর নগ্ন ছবি সারা দেশকে দেখিয়ে দিয়েছে অতিমারি। যা টের পেয়েছেন তিনি। হাসপাতালের দরজা থেকে ফিরিয়ে দিয়েছে তাঁকে। অ্যাম্বুল্যান্সেই চলছে চিকিৎসা। ছবিটি তুলেছেন চিত্র সাংবাদিক হেমন্ত রাওয়ত।