প্রতীকী ছবি।
করোনা মোকাবিলার সরকারি অবহেলার অভিযোগ তুলে পূর্ণ সময়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিয়োগের দাবি তুললেন শাসক দলেরই বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায়বর্মণ। আজ ফের তিনি অভিযোগ করেন, কোভিড মোকাবিলায় কোনও পরিকল্পনাই নেই রাজ্য সরকারের। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেবকে নিশানা করে সুদীপের পরামর্শ, “কোনও অহং বোধ না-রেখে সকলকে নিয়ে রোগটির বিরুদ্ধে লড়াই করা উচিত সরকারের। এই মুহূর্তে স্বাস্থ্য দফতরে এক জন পূর্ণ সময়ের মন্ত্রী প্রয়োজন।”
কয়েক দিন আগে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে সুদীপ রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের কাজকর্মের সামালোচনা করেছেন। তাঁর বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর হাতে ২৭ দফতরের সঙ্গে এই দফতরটি রয়েছে। তাই তিনি নিজে স্বাস্থ্য দফতরের কোনও খোঁজখবর নিতে পারছেন না। গোটা দেশে যখন কোভিডের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলছে, তখন এই ছোট্ট রাজ্য ত্রিপুরায় মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের দেখে মনে হচ্ছে, কোনও হেলদোল নেই কারও। এই কারণেই করোনা সংক্রমণ এত ছড়িয়ে পড়েছে। বাড়ছে মৃত্যু। মানুষ আতঙ্কে। সুদীপবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী হাসপাতালে চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক করত গেলেন। সেটাও আবার সামাজিক মাধ্যম এবং অনান্য কিছু বৈদ্যুতিন মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হল। এতে কোনও চিকিৎসক খোলামেলা আলোচনা করতে পারলেন না। এত দিন পরে মুখ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যসচিবকে নিয়ে বৈঠক করার কোনও উদ্দ্যেশ্যই সফল হল না।” সুদীপবাবুর আরও অভিযোগ, গোবিন্দ পন্থ হাসপাতালের কোভিড বিভাগে প্রতি দিন প্রায় বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হচ্ছে। মৃতদেহ পড়ে থাকছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। অন্য রোগীরা এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৬০৩ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ মিলেছে রাজ্যে। মোট আক্রান্ত ১৫,১৫২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ত্রিপুরায় করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ মোট মৃতের সংখ্যা দাড়িয়েছে ১৪৫৷ রাজ্যে করোনা হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ার কারণ খুঁজতে দিল্লি থেকে একটি বিশেষজ্ঞ দল আসছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ।