প্রতীকী ছবি।
ভারতে ওমিক্রনের এক্সই প্রজাতির প্রথম সংক্রমণ পাওয়া গেল গুজরাতে। এর আগে মুম্বইয়ে এক্সই ভেরিয়েন্ট মিলেছে বলে প্রাথমিক ভাবে শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত তা এক্সই নয় বলেই জানা যায়। গুজরাতের সংক্রমিত ব্যক্তির জিনোম সিকোয়েন্স রিপোর্ট এক্সই-র উপস্থিতি জানান দিয়েছে। তিনিও মুম্বই থেকেই গুজরাতে এসেছিলেন।
সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষমতায় এক্সই ওমিক্রনের থেকে দশ গুণ এগিয়ে থাকলেও এখনই ওই প্রজাতি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
আজ সকালে গুজরাত সরকারের স্বাস্থ্য দফতর জানায়, গত ১২ মার্চ এক ব্যক্তি মুম্বই থেকে বডোদরা এসেছিলেন। পরীক্ষায় তাঁর শরীরে এক্সই প্রজাতির ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। গুজরাতের
স্বাস্থ্য দফতরের অতিরিক্ত মুক্ত সচিব মনোজ আগরওয়াল বলেন, রাজ্যের জৈবপ্রযুক্তি দফতর ওই ব্যক্তির রক্তের নমুনায় মিউটেশনের সন্ধান পেয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত হওয়ার লক্ষ্যে ওই নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সের জন্য কলকাতা পাঠানো হয়। সেখানে থেকে প্রাপ্ত রিপোর্টে জানা গিয়েছে ওই ব্যক্তির নমুনায় এক্সই প্রজাতি রয়েছে। ওই ব্যক্তি যেহেতু মুম্বই
থেকে এসেছিলেন, তাই মহারাষ্ট্র সরকারের সঙ্গেও যোগাযোগ রেখে ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে কারা এসেছিলেন তাঁদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। মুম্বই পুরসভাও ওই ব্যক্তির দেহে এক্সই ভাইরাস মেলার কথা জানিয়েছে।
দেশে আজ প্রথম বার এক্সই প্রজাতি চিহ্নিত হলেও এখনই অবশ্য বিশেষ উদ্বেগের কারণ দেখছেন না স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কর্তারা। মন্ত্রক সূত্রে বলা হয়েছে, পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। উদ্বেগের কারণ নেই।
ভেলোরের ক্রিশ্চান মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক গগনদীপ কঙ্গ আজ সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে যা মনে হচ্ছে ওই প্রজাতি সংক্রমণ ছড়ানোয় শক্তিশালী হলেও তার মারণক্ষমতা কম। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বিএ.১ এর চেয়ে বিএ.২ নিয়ে বেশি উদ্বেগে ছিলেন। কিন্তু সেই তুলনায় সংক্রমণ ছড়ায়নি বিএ.২। তাই এক্সই ওই দুই প্রজাতির থেকে বেশি সংক্রামক হবে এমনটা
মনে করা হচ্ছে না। স্বাস্থ্যকর্তাদের দাবি, দেশের প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষের দুই ডোজ় টিকা নেওয়া হয়ে গিয়েছে। আগামিকাল থেকে শুরু হচ্ছে সতর্কতামূলক টিকাকরণ। দেশের অধিকাংশ
মানুষ টিকা নেওয়ায় সংক্রমণের আশঙ্কাও কম।