Coronavirus in India

দিল্লিতে প্রতিষেধক দেওয়ার চূড়ান্ত কর্মসূচি ঘোষণা

বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ টিকাকরণ কর্মসূচির সাক্ষী থাকতে চলেছে এ দেশের মানুষ। ‘কো-উইন’ (কোভিড ভ্যাকসিন ইন্টেলিজেন্স নেটওয়ার্ক) নামে একটি পোর্টালের মাধ্যমে এই কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হবে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২১ ০৩:৫৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

১৬ জানুয়ারি অর্থাৎ আগামী শনিবার থেকেই দেশ জুড়ে প্রতিষেধক দেওয়ার কর্মসূচি শুরুর কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগে জোর কদমে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত রাজ্যগুলি। এর মাঝেই রবিবার প্রথম দফায় প্রতিষেধক দেওয়া নিয়ে তাদের চূড়ান্ত পরিকল্পনা ঘোষণা করে দিল দিল্লি সরকার।

Advertisement

দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন এ দিন জানিয়েছেন, কেন্দ্রের নির্ধারিত দিনটি থেকেই ৪০টি সরকারি এবং ৪৯টি বেসরকারি হাসপাতাল-সহ মোট ৮৯টি কেন্দ্র থেকে প্রতিষেধক দেওয়া শুরু করে দেবে তারা। এই দফায় আগ্রাধিকার দেওয়া হবে যথাক্রমে স্বাস্থ্যকর্মী, প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা এবং পঞ্চাশোর্ধ্বদের। আগামী মঙ্গল, বুধবারের মধ্যেই প্রথম দফার প্রতিষেধক ওই রাজ্যের হাতে এসে পৌঁছে যাবে। এবং তারা সুষ্ঠু ভাবে টিকাকরণ সম্পূর্ণ করতে তৈরি বলেই জানিয়েছেন মন্ত্রী। প্রথমে কমপক্ষে তিন লক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতিষেধক দেওয়া হবে। তার পরেই প্রতিষেধক পাবেন কমপক্ষে ছ’লক্ষ প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা। এই তালিকায় পুলিশকর্মী, নিরাপত্তাকর্মীদের পাশাপাশি শিক্ষকদেরও রাখা হয়েছে বলে এ দিন জানান সে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। পরবর্তী ধাপে প্রতিষেধক পাবেন ৫০ বছরের ঊর্ধ্বে থাকা রাজ্যের কমপক্ষে ৪২লক্ষ মানুষ এবং যাঁদের ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা বা অন্য কোনও গভীর শারীরিক অসুস্থতা রয়েছে তাঁরা।

বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ টিকাকরণ কর্মসূচির সাক্ষী থাকতে চলেছে এ দেশের মানুষ। ‘কো-উইন’ (কোভিড ভ্যাকসিন ইন্টেলিজেন্স নেটওয়ার্ক) নামে একটি পোর্টালের মাধ্যমে এই কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হবে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই প্রতিষেধক দেওয়া হবে এমন ৭৯ লক্ষ মানুষের নাম সরকারের কাছে নথিভুক্ত হয়েছে। তাঁদের প্রত্যেকের জরুরি তথ্যের পাশাপাশি হাতে কত সংখ্যক ভ্যাকসিন মজুত রয়েছে এবং তা কত ডিগ্রি তাপমাত্রায় রাখা হয়েছে এই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য এখানে নথিভুক্ত থাকবে। এখনও পর্যন্ত কো-উইন-এর আনুষ্ঠানিক লঞ্চ হয়নি। তবে এ দিন এই সফ‌্টওয়্যার সম্পর্কে ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে রাজ্য প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আধিকারিকেরা।

Advertisement

আরও পড়ুন: এ বার হু-এর কোভিড মানচিত্রে ভারত থেকে আলাদা জম্মু-কাশ্মীর, বিতর্ক

আরও পড়ুন: ​পুরীর মন্দিরে আর লাগবে না কোভিড রিপোর্ট, নয়া ব্যবস্থা ২১ জানুয়ারি থেকে

অন্য দিকে, চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের এক সাম্প্রতিক রিপোর্টে। যাতে উঠে এসেছে, গত সাত মাসে সারা দেশে প্রায় ৩৩ হাজার টন কোভিড বর্জ্য উৎপাদিত হয়েছে। এই সময়কালের মধ্যে শুধু অক্টোবরেই প্রায় ৫,৫০০ টন বর্জ্য জমা হয়েছে, যা অন্যান্য মাসের তুলনায় সবচেয়ে বেশি। রাজ্যগুলির মধ্যে শীর্ষে মহারাষ্ট্র। শুধু ওই রাজ্যের কোভিড বর্জ্যের পরিমাণই ৩৫৮৭ টন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement