প্রতীকী ছবি।
দেশ জুড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যেই এ বার চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে সতর্কবার্তা দিলেন চিকিৎসকেরা। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির কাছে পাঠানো চিঠিতে তাঁদের দাবি, কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় যে সব পদ্ধতি কার্যকর বলে বৈজ্ঞানীক ভাবে প্রমাণ মেলেনি, অবিলম্বে সেগুলি বাতিল করা হোক।
কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলির পাশাপাশি ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)-কেও চিঠির প্রতিলিপি পাঠিয়েছেন ওই ৩২ জন চিকিৎসক ও চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ। তাঁদের মধ্যে কয়েক জন ভারতে কর্মরত। আমেরিকা, কানাডার মতো দেশগুলিতে কর্মরত অনাবাসীও রয়েছেন কয়েকজন। শুধু চিকিৎসা পদ্ধতি নয়, কার্যকারিতার প্রমাণ মেলেনি এমন করোনা পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। সিটি স্ক্যান, ডি-ডাইমার এবং আইএল-৬ ল্যাবরেটরি পরীক্ষা রয়েছে এই তালিকায়।
করানোর প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় হাসপাতালগুলিকে প্রস্তুত থাকতে বিভিন্ন সময় চিকিৎসাবিধি জারি করেছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক এবং রাজ্যগুলি। ভিটামিন সংমিশ্রণ, অ্যাজিথ্রোমাইসিন, ডক্সিসাইক্লিন, হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন, ফ্যাভিপিরাভির, আইভারমেকটিন-এর মতো। পরে তার অনেকগুলিই প্রত্যাহার করা হয়। ৩২ জন চিকিৎসক ও চিকিৎসা বিশেষজ্ঞের মতে, সাম্প্রতিক সংক্রমণবৃদ্ধির আবহেও তেমনই ভুলের পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে।
করোনাভাইরাসের ডেল্টা রূপের সংক্রমণের সময় ওষুধের এই ধরনের অযৌক্তিক ব্যবহার ক্ষতিকারক ছিল বলেই তাঁদের অভিযোগ। ভারতে মিউকরমাইকোসিস এবং ব্রাজিলে অ্যাসপারজিলোসিসের মতো ছত্রাক সংক্রমণের কারণ হিসেবে অনুপযুক্ত ওষুধের ব্যাপক অপব্যবহারকেই যে দায়ী করা হয়েছে, সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, এখনও কার্যকারিতা সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ না মেলায় রাজ্য সরকার চলতি মাসেই মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি থেরাপি (ককটেল থেরাপি) এবং মলনুপিরাভির ব্যবহারকে ‘নির্ধারিত চিকিৎসাপদ্ধতির তালিকা’ থেকে বাদ দিয়েছে।