Coronavirus

অসমে মৃত ডাক্তার, করোনা ঠেকাতে ম্যালেরিয়ার ওষুধ খেয়েই কি?

উৎপলজিৎ বর্মন নামে ৪৪ বছরের ওই চিকিৎসক এক জন অ্যানাস্থেটিস্ট। তিনি একটি বেসরকারি হাসপাতালে কাজ করতেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২০ ১৬:২৪
Share:

প্রতীকী ছবি

করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েনি। কিন্তু আগাম সতর্কতা নিতে গিয়েই কি ঘটল ঘোরতর বিপদ? শনিবার অসমে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় এক চিকিৎসকের। আর তা নিয়েই সন্দেহ দানা বাঁধছে। কারণ জানা গিয়েছে, যাতে করোনায় আক্রান্ত না হন, সে জন্য ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন খাচ্ছিলেন ওই চিকিৎসক। তার ফলেই নাকি হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। ওই ওষুধ অবশ্য করোনা আক্রান্তদেরও দেওয়া হয়ে থাকে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উৎপলজিৎ বর্মন নামে ৪৪ বছরের ওই চিকিৎসক এক জন অ্যানাস্থেটিস্ট। তিনি একটি বেসরকারি হাসপাতালে কাজ করতেন। মনে করা হচ্ছে, আগাম সতর্কতা নিতে গিয়ে, নিজেই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন খেয়েছিলেন তিনি। আর এর পরেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন উৎপলজিৎ। ওষুধ খাওয়ার পর তিনি যে অস্বস্তি বোধ করতে শুরু করেছিলেন তা হোয়াসঅ্যাপে তাঁর সহকর্মীদেরও জানান।

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন (আইসিএমআর) ওষুধটিকে অনুমোদন দিয়েছে। বলা হয়েছে, করোনা রোগীর চিকিৎসায় যুক্ত চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও তাঁদের পরিবারের সদস্য ওই ওষুধটি খেতে পারেন। তবে সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে ওই ওষুধ খাওয়ার কথাও বলেছে আইসিএমআর। তবে মৃত চিকিৎসক কোনও করোনা রোগীর চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না বলেও জানা গিয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: দিল্লির নিজামউদ্দিনের জমায়েতে যোগ দেওয়া অন্তত সাত জনের মৃত্যু, বাড়ছে উদ্বেগ

সারা দেশে করোনার রোগীর সংখ্যা ১২০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। কিন্তু অসমে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত নেই। তা সত্ত্বেও কেন ওই চিকিৎসক হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন জাতীয় ওষুধ খেতে গেলেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

আরও পড়ুন: মনোবল বাড়াতে পরিযায়ী শ্রমিকদের কাউন্সেলিংয়ের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement