দিল্লির রাস্তায় নাকাতল্লাশি। ছবি: এএফপি।
রোগীর চিকিৎসা করতে গিয়ে দিল্লিতে এ বার খোদ ডাক্তারই নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পড়লেন। তাঁর সংস্পর্শে আসা প্রায় ৯০০ মানুষ এই মুহূর্তে গৃহ পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। ১৪ দিনের জন্য তাঁদের গৃহ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন।
উত্তর-পূর্ব দিল্লির মৌজপুরে একটি মহল্লা ক্লিনিকে কর্মরত ওই ডাক্তার। গত ১২ মার্চ সৌদি ফেরত এক মহিলা ওই ক্লিনিকে যান। ওই মহিলাও করোনায় আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে। তাঁর থেকেই ওই চিকিৎসক সংক্রমিত হয়েছেন বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে।
ওই ডাক্তারের স্ত্রী এবং কিশোরী মেয়ের শরীরেও কোভিড-১৯ ভাইরাস ধরা পড়েছে। সৌদিফেরত ওই মহিলার সংস্পর্শে এসে আরও পাঁচ জন সংক্রমিত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তিনি যেখানে থাকেন, সেই এলাকায় ৭৪ জনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনায় কাশ্মীরে প্রথম মৃত্যু, শ্রীনগরের হাসপাতালে মৃত ৬৫ বছরের বৃদ্ধ
আরও পড়ুন: নেই বিদেশ সফরের ইতিহাস, রাজ্যে মিলল নতুন করোনা-আক্রান্তের খোঁজ
আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষের কাছে নিখরচায় চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিতেই দিল্লিতে মহল্লা ক্লিনিক চালু করে অরবিন্দ কেজরীবালের সরকার। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে মৌজপুরে। ১২-১৮ মার্চের মধ্যে যাঁরা ওই ক্লিনিকে গিয়েছিলেন, তাঁদের ১৫ দিনের জন্য গৃহ পর্যবেক্ষণে থাকার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।