Nigambodh Ghat

করোনায় মৃত বৃদ্ধার শবদাহে আপত্তি, দিল্লির নিগমবোধ ঘাট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ পরিবারের

খবর সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই নড়েচড়ে বসে শ্মশান কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে সেখানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় ওই বৃদ্ধার।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২০ ১৪:১৬
Share:

ছড়াচ্ছে করোনা আতঙ্ক। ছবি: পিটিআই

করোনায় মৃত্যু হওয়ায় বৃদ্ধার শবদাহে আপত্তি! দিল্লির নিগমবোধ ঘাট শ্মশান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন মৃতার আত্মীয় পরিজনরা। যদিও এই খবর সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই নড়েচড়ে বসে শ্মশান কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে সেখানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় ওই বৃদ্ধার।

Advertisement

দিল্লির রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৬৮ বছরের ওই বৃদ্ধা। শুক্রবার তাঁর মৃত্যু হয়। এ দিন সকালে তাঁর দেহ নিয়ে দিল্লিরই নিগমবোধ ঘাটে শেষকৃত্যের জন্য নিয়ে যান ওই বৃদ্ধার আত্মীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, অন্ত্যেষ্টির জন্য প্রথমে অনুমতিই দিচ্ছিল না শ্মশান কর্তৃপক্ষ। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কথা শুনে তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। বৃদ্ধার পরিবারের দাবি, এ নিয়ে তাঁরা নিগমবোধ ঘাটের যিনি প্রধান, তাঁর সঙ্গেও কথা বলেন। তবে তিনিও তাঁদের অন্য কোথাও গিয়ে শেষকৃত্য করতে বলেন।

এর পরই এই ঘটনা অন্য দিকে মোড় নেয়। বিষয়টি জানাজানি হতেই, এই খবর তুলে ধরে জাতীয় সংবাদমাধ্যমগুলি। আর তাতেই টনক নড়ে নিগমবোধ ঘাট কর্তৃপক্ষের। শেষ পর্যন্ত রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালের বিশেষজ্ঞদের কড়া নজরদারিতে সেখানেই ওই বৃদ্ধার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। গ্যাসের চুল্লিতে দাহ করা হয় দেহ।

Advertisement

আরও পড়ুন: বেঙ্গালুরুতে খালি করা হল ইনফোসিস অফিস, দেশে আক্রান্ত বেড়ে ৮৩​

আরও পড়ুন: তিহাড় জেলে আইসোলেশন সেল, পলাতক ৫ রোগী : করোনা আপডেট এক নজরে​

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোগীর মৃত্যুর পরেও, দেহ থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে যায়। দিল্লিরই আরোগ্য হাসপাতালের চিকিৎসক উমেশ ভার্মার কথায়, ‘‘মৃত্যুর পরেও রোগীর দেহে ভাইরাস থাকে। যাঁরা ওই দেহ শেষকৃত্যের জন্য নিয়ে যান, তাঁদেরও সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। শ্মশানে বহু মানুষ থাকেন। ফলে তাঁদের ক্ষেত্রেও এই ঝুঁকি রয়েছে।’’

করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল কর্নাটকে। তার রেশ কাটতে না কাটতেই দিল্লিতে দ্বিতীয় মৃত্যুর ঘটনা ঘটল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement