Coronavirus in India

আরও বাড়ল সুস্থতার হার, দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮২ লক্ষের কাছাকাছি

সাম্প্রতিক কালের মধ্যে ২৬ অক্টোবর থেকে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজারের নীচে নেমে গিয়েছিল। এ দিনও সেই প্রবণতা বজায় থেকেছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২০ ১০:৪৮
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

দেশে দৈনিক করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ফের কমল। আক্রান্তের সংখ্যা কমায় তার প্রভাব দেখা দিয়েছে ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হারে। শতাংশের নিরিখে তা আগের থেকে নিম্নমুখী হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে আক্রান্তদের দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও। তবে আগের থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। যদিও দেশ জুড়ে কোভিড পজিটিভের সংখ্যা প্রায় ৮২ লক্ষের কাছাকাছি পৌঁছেছে।

Advertisement

রবিবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, এ দেশে সংক্রমিত হয়েছেন মোট ৮১ লক্ষ ৮৪ হাজার ৮৩ জন। এর মধ্যে শুধুমাত্র গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে ৪৬ হাজার ৯৬৩ জনের।

আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৮২ লক্ষের দিকে এগোলেও এখনও পর্যন্ত সংক্রমণ থেকে সেরে উঠেছেন ৭৪ লক্ষ ৯১ হাজার ৫১৩ জন। এর ফলে এই মুহূর্তে দেশে সংক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ৫ লক্ষ ৭০ হাজার ৪৫৮।

Advertisement

আরও পড়ুন: ভাবাচ্ছে টিকা কেনার খরচ

আরও পড়ুন: মাস্ক বাধ্যতামূলক, নয়া বিল রাজস্থানে

সাম্প্রতিক কালের মধ্যে ২৬ অক্টোবর থেকে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজারের নীচে নেমে গিয়েছিল। এ দিনও সেই প্রবণতা বজায় থেকেছে। যদিও শনিবারের থেকে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা (৪৬ হাজার ২৬৮) বেড়েছে। এ দিন স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪৭০ জনের। এ দিনের এই পরিসংখ্যান যোগ করলে দেশ জুড়ে মোট ১ লক্ষ ২২ হাজার ১১১ জন কোভিড রোগীর মৃত্যু হল।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

দৈনিক মৃতের সংখ্যার বাড়লেও কমেছে ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার। এ দিন তা দাঁড়িয়েছে ৪.৩০ শতাংশে। গত কাল তা ছিল ৪.৫২ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড টেস্টের সংখ্যাও বেড়েছে। ওই সময়ের মধ্যে দেশ জুড়ে ১০ লক্ষ ৯১ হাজার ২৩৯টি টেস্ট করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। প্রতি দিন যত সংখ্যকের কোভিড টেস্ট হচ্ছে, এবং তার মধ্যে ১০০ জনে কত জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসছে, সেটাকেই বলা হয় ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার। সংক্রমণের হার ওঠানামার উপরে দেশের করোনা প্রবণতার চিত্রটা অনেকাংশে বোঝা গেলেও তা-ই একমাত্র মাপকাঠি নয়। তবে অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকেই এই হার নিম্নমুখী হওয়ায় খানিকটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে স্বাস্থ্যকর্তাদের।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

সংক্রমণের হারের পাশাপাশি বেড়েছে দৈনিক সুস্থতার হার। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসাব অনুযায়ী, তা হল ৯১.৫৪ শতাংশ। গত কাল এই হার ছিল ৯১.৩৪ শতাংশে। যা স্বস্তিদায়ক বলেই মনে করছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।

বিশ্বে আক্রান্তের তালিকায় বরাবরই শীর্ষে আমেরিকা। এ দেশে সংক্রমিতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকায় ওই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ভারত। তার পরেই রয়েছে ব্রাজিল। তবে আমেরিকায় দৈনিক সংক্রমণের পাশাপাশি মৃতের সংখ্যাও ভারতের থেকে বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় আমেরিকায় ৭৮ হাজার ৪৫৭ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে আমেরিকায় ৯১ লক্ষ ২২ হাজার ৪১৪ জনের মধ্যে সংক্রমণ ঘটেছে। ব্রাজিলে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে কম হলেও ১ দিনে সে দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৯৪৭ জন। অন্য দিকে, আমেরিকায় ইতিমধ্যেই ২ লক্ষ ৩০ হাজারেরও বেশি রোগী মৃত্যু হয়েছে। ব্রাজিলে মারা গিয়েছেন ১ লক্ষ ৫৯ হাজারেরও বেশি।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

এ দেশে সংক্রমণের নিরিখে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মহারাষ্ট্র। ওই রাজ্যে মোট ১৬ লক্ষ ৭৮ হাজার ৪০৬ জনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। দৈনিক ৫ হাজার ৫৪৮টি কোভিড রিপোর্ট পজিটিভি এসেছে। সেই সঙ্গে এখনও পর্যন্ত ৪৩ হাজার ৯১১ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি কর্নাটক (মোট ৮ লক্ষ ২৩ হাজার ৪১২), অন্ধ্রপ্রদেশে (মোট ৮ লক্ষ ২৩ হাজার ৩৩৮), তামিলনাড়ু (মোট ৭ লক্ষ ২৪ হাজার ৫২২), উত্তরপ্রদেশ (মোট ৪ লক্ষ ৮১ হাজার ৮৬৩) এবং কেরল (মোট ৪ লক্ষ ৩৩ হাজার ১০৫)-এও সংক্রমণ দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বেশি। অন্য দিকে, পশ্চিমবঙ্গে সুস্থ রোগীর সংখ্যা পর পর ২ দিন ৪ হাজারের গণ্ডি পার করেছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের হিসাব অনুযায়ী, এ রাজ্যে মোট আক্রান্ত ৩ লক্ষ ৭৩ হাজার ৬৬৪।

(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement