দেশের কোভিড পরিসংখ্যান। গ্রাফিক—শৌভিক দেবনাথ।
দেশে ২৪ ঘণ্টায় নতুন কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ২৬,৫৬৭। গত প্রায় পাঁচ মাসের মধ্যে এই প্রথম সংখ্যাটা ২৭ হাজারের নীচে নামল। এ সম্পর্কে স্বাস্থ্য মন্ত্রক আজকের বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।’’
বস্তুত, দেশের করোনা পরিসংখ্যানের এটি তৃতীয় সূচক, যা গত কাল থেকে উল্লেখযোগ্য ভাবে নেমে প্রায় জুলাইয়ের সময়কার মাপকাঠিতে এসে দাঁড়িয়েছে। মোট অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা চার লক্ষের নীচে নেমেছে আগেই। চব্বিশ ঘণ্টায় মৃত্যুও ১৫৭ দিন পরে নেমেছে চারশোর নীচে। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, গত ১০ জুলাই করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২৬,৫০৬ জনের। সারা দেশে সেই দিনে ২.৩ লক্ষ নমুনা পরীক্ষার নিরিখে সংক্রমণের হার ছিল ৯.৩ শতাংশ। এখন দৈনিক প্রায় দশ লক্ষ নমুনা পরীক্ষা সত্ত্বেও সেই হার প্রায় ২.৬ শতাংশে নেমে এসেছে। আরও একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, মোট সংক্রমিতের নিরিখে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা আজ চার শতাংশের নীচে নেমেছে। এ দিকে, সুস্থতার হার ৯৪.৫৯ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। ৯৭.০৩ লক্ষ যেখানে সারা দেশে আক্রান্তের সংখ্যা, সেখানে সুস্থের মোট সংখ্যা ৯১.৭৮ লক্ষ।
দেশে টিকাকরণ নিয়ে তৎপরতার আবহে এই সমস্ত পরিসংখ্যান অবশ্যই কিছুটা স্বস্তিদায়ক। বিশেষত গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে কোভিড-জয়ীর সংখ্যা যেখানে ওই একই সময়ে সংক্রমিতের সংখ্যার চেয়ে প্রায় ১৩ হাজার বেশি। তবে মৃত্যু এখনও বেশিই ঘটছে দিল্লিতে। মৃত ৩৮৫ জন কোভিড রোগীর মধ্যে ৬৩ জন দিল্লির। দ্বিতীয় স্থানে পশ্চিমবঙ্গ (৪৮), তৃতীয় মহারাষ্ট্র (৪০)।
কেন্দ্র বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডজয়ীদের ৭৬.৩১ শতাংশ দশটি রাজ্যের বাসিন্দা। সুস্থের সংখ্যা সব চেয়ে বেশি (৭৩৪৫) মহারাষ্ট্রে। কিন্তু একই সময়ে নতুন কোভিড সংক্রমণের নিরিখে কেরল (৩২৭২) ছাপিয়ে গিয়েছে মহারাষ্ট্রকে (৩০৭৫)। পশ্চিমবঙ্গে গত কাল ২২১৪ জনের সংক্রমণের তথ্য পেয়েছে কেন্দ্র।