Coronavirus in India

দেশে দৈনিক আক্রান্তের থেকে সুস্থের সংখ্যা কমল, সংক্রমণের হার বাড়লেও কমেছে মৃত্যুর সংখ্যা

রবিবার সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৮০৫। শনিবার ওই সংখ্যাটা ছিল ১৪ হাজার ৪৮৮। তবে সুস্থতার হার আগের দিনের মতোই ৯৭.১৯ শতাংশ রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১২:১৫
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

দেশে দৈনিক নতুন আক্রান্তের তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ রোগীর সংখ্যা কিছুটা কমল। শেষবার এমনটা দেখা গিয়েছিল ৭ জানুয়ারি। গত এক মাসে এমনটা দেখা যায়নি। গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড পরীক্ষার সংখ্যা কমলেও তার মধ্যেই সংক্রমণের হার বা ‘পজিটিভিটি রেট’ ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। যদিও ওই সময়ের মধ্যে কোভিড আক্রান্তের মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। তবে এক দিনে সুস্থতার হার অপরিবর্তিত রয়েছে।

Advertisement

রবিবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে করোনায় আক্রান্তের মোট সংখ্যা ১ কোটি ৮ লক্ষ ২৬ হাজার ৩৬৩ জন। তবে এর মধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন বিপুল সংখ্যক কোভিড রোগী। করোনার থেকে সেরে উঠেছেন ১ কোটি ৫ লক্ষ ২২ হাজার ৬০১ জন। ফলে এই মুহূর্তে দেশে ১ লক্ষ ৪৮ হাজার ৭৬৬ জন সক্রিয় রোগী রয়েছেন।

সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমলেও দৈনিক সংক্রমণের হার বা ‘পজিটিভিটি রেট’ শনিবারের থেকে সামান্য বেড়েছে। শনিবার ওই হার ছিল ১.৫৮ শতাংশ। তবে রবিবার তা দাঁড়িয়েছে ১.৭৩ শতাংশে। প্রতি দিন যত সংখ্যকের কোভিড টেস্ট হয় এবং তার মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকে ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার বলা হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশ জুড়ে মোট ৬ লক্ষ ৯৫ হাজার ৭৮৯টি কোভিড টেস্ট করা হয়েছে। তার মধ্যে ১২ হাজার ৫৯টি রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।

Advertisement

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শনিবারের তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি আগের দিনের থেকে কম সংখ্যক রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। রবিবার সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৮০৫। শনিবার ওই সংখ্যাটা ছিল ১৪ হাজার ৪৮৮। তবে সুস্থতার হার আগের দিনের মতোই ৯৭.১৯ শতাংশ রয়েছে।

এ দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যাটা বরাবরই বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় কম। এখনও পর্যন্ত ১ লক্ষ ৫৪ হাজার ৯৯৬ জন কোভিড রোগী মারা গিয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু সংখ্যা কমেছে। শনিবার ৯৫ জন মারা গেলেও রবিবার সেই সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৭৮-এ।

করোনায় আক্রান্তের নিরিখে গো়ড়া থেকেই বিশ্ব-তালিকায় শীর্ষে রয়েছে আমেরিকা। জো বাইডেনের দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ কোটি ৬৯ লক্ষ পেরিয়ে গিয়েছে। প্রতিদিনই সে দেশে ১ লক্ষেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। অন্য দিকে, তালিকায় ভারতের পরেই তৃতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলেও দৈনিক সংক্রমণ গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ঊর্ধ্বমুখী। সে দেশে আক্রান্ত সংখ্যা প্রায় ৯৫ লক্ষের কাছাকাছি পৌঁছেছে।

এই মুহূর্তে সক্রিয় আক্রান্তের নিরিখে সব রাজ্যগুলিকে ছাপিয়ে গিয়েছে কেরল। ওই রাজ্যে ৬৭ হাজারেরও বেশি সক্রিয় আক্রান্ত। অন্য দিকে, মহারাষ্ট্র (৩৬ হাজার ১৯২ জন), কর্নাটক (৫ হাজার ৯৮৭ জন), উত্তরপ্রদেশ (৪ হাজার ৪৩৮ জন) এবং পশ্চিমবঙ্গে (৪ হাজার ৮৮৫ জন) সংক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যাও উপরের দিকে রয়েছে।

(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement