গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
ব্রাজিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার যে নতুন প্রজাতি ধরা পড়েছে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই এ দেশেও একটা উদ্বেগ ছড়িয়েছে। তার মধ্যেই চিন্তা আরও বাড়িয়েছে মহারাষ্ট্রের দৈনিক সংক্রমণে হঠাৎ রোগী বৃদ্ধির সংখ্যা। বৃহস্পতিবারই সেখানে ৫ হাজারের বেশি নতুন সংক্রমণ ধরা পড়েছে। যার মধ্যে মুম্বইয়ে শুধু ৭০০ জন নতুন সংক্রমিত। এর জেরে দেশে দৈনিক সংক্রমণের গ্রাফ সামান্য ঊর্ধ্বমুখী।
শুক্রবার প্রকাশিত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ১৯৩ জন। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৯ লক্ষ ৬৩ হাজার ৩৯৪। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুম্বইয়ে যে হারে সংক্রমণ হঠাৎ করে বাড়তে শুরু করেছে, তার প্রভাবেই ফের বাড়তে শুরু করেছে দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা।
দৈনিক সংক্রমণের পাশাপাশি, সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও বেশ খানিকটা বেড়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ৩৯ হাজার ৫৪২। প্রতি দিন যত জনের কোভিড পরীক্ষা হয়, তার মধ্যে প্রতি ১০০ জনে যত জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকে বলা হয় পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় ৭ লক্ষ ৭১ হাজার ৭১ জনের কোভিড পরীক্ষা হয়েছে। ফলে সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ১.৭১ শতাংশ।
দৈনিক সুস্থতার হারও সামান্য কমেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী সুস্থতার হার ৯৭.৩০ শতাংশ। দৈনিক সংক্রমণ উদ্বেগ বাড়ালেও মৃত্যুর সংখ্যাটা যে ক্রমেই কমছে, তাতে একটা সদর্থক দিক দেখতে পাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৯৭ জনের। দু’দিন পর ফের মৃত্যুর সংখ্যা একশোর নীচে নামল। দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ১১১।
নতুন দু’টি প্রজাতি নিয়ে ইতিমধ্যেই পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু করে দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং বিজ্ঞানীরা। জিন সিকোয়েন্সিং-এর কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) জানিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন প্রজাতি ধরা পড়েছে ৪ ভারতীয়র দেহে এবং ব্রাজিল প্রজাতি এক জনের দেহে ধরা পড়েছে। এই দুই প্রজাতি ভারতে ঢুকে পড়ায় ফের উদ্বেগ ছড়িয়েছে।