কিছু রাজ্যে গোষ্ঠী সংক্রমণ ঘটেছে বলে জানাল কেন্দ্র। —ফাইল চিত্র।
গোটা দেশ জুড়ে না হলেও বেশ কিছু রাজ্যে গোষ্ঠী সংক্রমণ ঘটেছে। জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। গত আট মাসেরও বেশি সময় ধরে নোভেল করোনার সঙ্গে যুঝছে গোটা দেশ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার কোনও লক্ষণ নেই। এমন অবস্থায় রবিবার গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা মেনে নিল কেন্দ্রীয় সরকার।
বাংলায় গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জুলাইয়ের শেষ দিকেই জানিয়ে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। এত দিন তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি কেন্দ্রীয় সরকার। রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘সানডে সংবাদ’ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন হর্ষ বর্ধন। সেখানে বাংলা সরকারের দাবি নিয়ে প্রশ্ন করলে গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা মেনে নেন তিনি।
এ দিন হর্ষ বর্ধন বলেন, ‘‘মূলত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকগুলিতেই গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যে একাধিক জায়গায় গোষ্ঠী সংক্রমণ ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। তবে দেশের সর্বত্র সেই পরিস্থিতি দেখা দেয়নি। কিছু রাজ্যের মধ্যেই তা সীমাবদ্ধ রয়েছে।’’
আরও পড়ুন: ত্বকের উপর ৯ ঘণ্টা বেঁচে থাকে করোনাভাইরাস, দাবি গবেষকদের
গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা মেনে নেওয়া বা উড়িয়ে দেওয়ার বদলে, এত দিন এই প্রশ্নে নীরবতাই পালন করে এসেছে কেন্দ্র। তবে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও জুলাই মাসেই গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা মেনে নিয়েছিলেন। উপকূলবর্তী পুনথুরা এবং পুল্লিভিলায় গোষ্ঠী সংক্রমণ দেখা দিয়েছে বলে সেইসময় জানিয়েছিলেন তিনি। রাজ্যে গোষ্ঠী সংক্রমণ ঘটছে বলে জুলাই-অগস্টের মাঝামাঝি সময় ইঙ্গিত দিয়েছিল অসম সরকারও।
দুর্গাপুজোর আগে সম্প্রতি গোষ্ঠী সংক্রমণ নিয়ে রাজ্যবাসীকে সতর্ক করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
আরও পড়ুন: ‘করোনার শিখর পেরিয়ে এসেছে দেশ, ফেব্রুয়ারিতে শেষ হবে অতিমারি’
জানুয়ারির শেষে কেরলেই এক বিদেশফেরত ব্যক্তির শরীরে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। তার পর থেকে গত আট মাসেরও বেশি সময়ে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ৭৫ লক্ষ হয়েছে। করোনার প্রকোপে এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ১ লক্ষ ১৪ হাজারের বেশি মানুষ।