আগ্রায় তাজমহলে বেড়াতে আসা পর্যটকদের স্ক্রিনিং করছেন চিকিৎসকরা। ছবি: পিটিআই
প্রতিদিন বাড়ছে নোভেল করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা। বাড়ছে আতঙ্ক। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে এই নির্দেশিকায় বড় কোনও জমায়েত এড়িয়ে চলতে বা স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে। অন্য দিকে ভারতীয় সেনার তরফেও তাদের সব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশিকা পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার গাজিয়াবাদের এক ব্যক্তির পর শুক্রবার দিল্লিতে আরও এক জন আক্রান্ত হয়েছেন করোনা ভাইরাসে। দিল্লিতে সব প্রাথমিক স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহেরা যোগ দিচ্ছেন না কোনও হোলি উৎসবে। রাষ্ট্রপতি ভবনেও প্রথাগত হোলি উৎসব স্থগিত রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে চিনা মারণ ভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণের আশঙ্কায় সারা দেশেই বাড়ছে আতঙ্ক, উৎকণ্ঠা, উদ্বেগ।
এই অবস্থায় করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে শুক্রবার নয়া নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক। সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ওই নির্দেশিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। করোনা নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত বড় জমায়েত এড়িয়ে চলা বা স্থগিত রাখার জন্য বলা হয়েছে ওই নির্দেশিকায়। তবে একান্তই বাধ্য হয়ে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি, অনুষ্ঠান বা জমায়েত করতে হলে প্রয়োজনীয় সাবধানতা অবলম্বনের কথাও বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে করোনা সংক্রমণ আরও এক জনের, আক্রান্ত বেড়ে ৩১, বাড়ছে আতঙ্ক
আরও পড়ুন: করোনা, ইয়েস ব্যাঙ্কের খবরে প্রভাব শেয়ার বাজারে, সেনসেক্স পড়ল ১০০০ পয়েন্ট
অন্য দিকে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ভারতীয় সেনাও। শুক্রবার সেনাবাহিনীর সব হাসপাতালকে গাইডলাইন পাঠানো হয়েছে সেনার তরফে। বলা হয়েছে, আলাদা ‘আইসোলেশন ওয়ার্ড’ তৈরি করতে হবে। প্রাথমিক পরীক্ষার জন্য আলাদা করে আউটডোর খোলার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সেনা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্যকর্তা এবং মেডিক্যাল কাউন্সিলের আধিকারিকদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করবেন।