প্রতীকী ছবি।
দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে প্রতি দিন। চাপ বাড়ছে সরকারি হাসপাতাল, ল্যাবের উপর। তাই এ বার বেসরকারি ল্যাবেও নোভেল করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ সংক্রমণের পরীক্ষার অনুমোদন দিল কেন্দ্র। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর নির্দেশিকা অনুযায়ী শনিবার রাতে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তাতে বলা হয়েছে, নমুনা পরীক্ষার নির্দিষ্ট পরিকাঠামো রয়েছে এমন ৭৯টি ল্যাব করোনা সংক্রমণের পরীক্ষা করতে পারবে। তবে আইসিএমআর-এর দেওয়া তালিকাভুক্ত ল্যাবগুলিতে পরিকাঠামো রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখার পর চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলি।
ল্যাবের তালিকার পাশাপাশি বেঁধে দেওয়া হয়েছে পরীক্ষার খরচও। আইসিএমআর-এর নির্দেশিকা অনুযায়ী করোনার সংক্রমণ পরীক্ষার জন্য সর্বোচ্চ সাড়ে চার হাজার টাকা নেওয়া যেতে পারে। তার মধ্যে স্ক্রিনিং-সহ অন্যান্য প্রাথমিক খরচ দেড় হাজার এবং চূড়ান্ত পরীক্ষার খরচ সর্বোচ্চ তিন হাজার টাকা নেওয়া যেতে পারে। তবে বিনামূল্যে টেস্টের জন্যও আহ্বান জানানো হয়েছে বেসরকারি ল্যাবগুলিকে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘জাতীয় জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থার কথা মাথায় রেখে বিনামূল্যে বা ভর্তুকিযুক্ত টেস্টের জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে।’ পাশাপাশি ল্যাব পর্যন্ত আসার সময় সংক্রমণ ছড়ানো এড়াতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহের পক্ষেও সওয়াল করেছে আইসিএমআর।
সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি মিলিয়ে মোট ৭৯টি ল্যাবের তালিকা দিয়েছে আইসিএমআর। তার মধ্যে এ রাজ্যের রয়েছে পাঁচটি। রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর সূত্রে খবর, নমুনা সংগ্রহ, পরীক্ষা করা, রিপোর্ট তৈরি এবং কিট ও অন্যান্য সামগ্রী নষ্ট করার মতো পরিকাঠামো রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখে তার পরেই পরীক্ষার অনুমোদন দেওয়া হতে পারে।
আরও পড়ুন: চেনা ব্যস্ততার ছবি উধাও, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশ জুড়ে স্বতঃস্ফূর্ত কার্ফু চলছে জনতার
আরও পড়ুন: আজ জনতা কার্ফুর সাফল্য দেখেই পরের ধাপ
আইসিএমআর-এর দেওয়া গাইডলাইন অনুযায়ী যে সব ল্যাবের ন্যাশনাল অ্যাক্রিডিটেশন বোর্ড ফর টেস্টিং অ্যান্ড ক্যালিব্রেশন ল্যাবরেটরিজ বা এনএবিএল-এর রিয়েল টাইম পলিমারেজ চেন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) টেস্টের অনুমোদন রয়েছে এবং যে সমস্ত সংস্থা ‘সোসাইটি অ্যানোনিম’ (এক ধরনের ব্যবসায়িক কাঠামো) গোত্রের, সেই সব সংস্থাকেই এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নমুনা পরীক্ষা থেকে রিপোর্ট আসা পর্যন্ত সমস্ত ‘বায়োসেফটি’ মেনে চলতে হবে ল্যাবরেটরিগুলিকে। টেস্টের জন্য কোন কিট ব্যবহার করতে হবে, তাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে আইসিএমআর-এর গাইডলাইনে। তবে চিকিৎসক টেস্টের পরামর্শ দিলে তবেই এই টেস্ট করা যাবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী, গাইডলাইন না মানা হলে সেই সব ল্যাবের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি সময় সময় এই গাইডলাইন পরিবর্তন করা হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে গাইডলাইনে।