ফাইল চিত্র।
এ বছর পুজোর মরসুমে ঘরে থাকুন, আনন্দ করুন আগামী বছর— আজ দেশবাসীকে এই পরামর্শই দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কারণ, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, করোনা প্রতিষেধকের দু’টি ডোজ় নিলে ৯৭.৫ শতাংশ ক্ষেত্রে মৃত্যু আটকানো যায়।
কোভিড-বিধি উড়িয়ে যত বার জমায়েত হয়েছে, তত বারই নতুন করে শক্তি বেড়েছে করোনাভাইরাসের। যার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ, ওনামের পরে কেরলের সংক্রমণ চিত্র। তাই এ বারও দেশবাসীকে উৎসবের দিনে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ। আজ তিনি বলেন, ‘‘করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা এখনও পূর্ণমাত্রায় রয়েছে। তা মাথায় রেখে দেশবাসীর উচিত, অন্তত এ বছর ঘরে বসে উৎসব পালন করা। আগামী দিনে উৎসব উদ্যাপনের অনেক সুযোগ পাওয়া যাবে।’’
একই মত ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ(আইসিএমআর)-এর ডিজি বলরাম ভার্গব এবং নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) ভি কে পলেরও। ভার্গব বলেন, ‘‘আগামিকাল থেকে শুরু হচ্ছে গণেশ চতুর্থী। এর পরে আরও উৎসব রয়েছে। আমজনতার উচিত, এই বছর উৎসবের দিনগুলিতে ঘরে থেকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটান, আনন্দ করুন।’’
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আজ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সাপ্তাহিক বৈঠকে কেন্দ্র জানিয়েছে, করোনাকে রোখার একমাত্র অস্ত্র টিকা। এ বিষয়ে এপ্রিল থেকে অগস্টের একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে কেন্দ্রের দাবি, প্রতিষেধকের প্রথম ডোজ় নিলে ৯৬.৬ শতাংশ ক্ষেত্রে মৃত্যু এড়ানো যায়। আর দু’টি ডোজ় নিলে প্রাণহানি রোখা যায় ৯৭.৫ শতাংশ ক্ষেত্রে। ভি কে পল জানান, দ্বিতীয় ঢেউয়ে এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যে যাঁরা করোনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন, তাঁদের টিকা নেওয়া ছিল না। তিনি বলেন, ‘‘এর থেকেই স্পষ্ট প্রতিষেধকই করোনা থেকে মৃত্যু এড়ানোর সবচেয়ে কার্যকরী উপায়।’’ তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, দু’টি ডোজ়ের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হওয়া অত্যন্ত জরুরি। দু’টি ডোজ় নেওয়ার পরেও অনেকে সংক্রমিত হচ্ছেন। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ভি কে পল বলেন, ‘‘টিকা নিলে সংক্রমণ হবে না এমনটা বলা হয়নি। টিকাকরণের লক্ষ্য মৃত্যু আটকানো।’’