ফাইল চিত্র
আমেরিকায় নিউইয়র্কের চিড়িয়াখানায় বাঘের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। সেখানকার কোনও কর্মীর থেকেই এই সংক্রমণ ঘটেছে বলে চিকিত্সকদের ধারণা। এ দেশেও এমন সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে, সব রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলকে সতর্ক করল কেন্দ্রীয় সরকার। বাঘ্র সংরক্ষিত এলাকা, জাতীয় উদ্যান, বনাঞ্চল, চিড়িয়াখানার পশুরা মানুষের দ্বারা যাতে সংক্রামিত না হয়, সে দিকে বিশেষ নজর রাখতে বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি, আরও বেশ কিছু জরুরি নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে পরিবেশ-বন-জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের তরফে।
এই নির্দেশিকা জারির অনেক আগে থেকেই অবশ্য এ রাজ্যের চিড়িয়াখানা এবং জাতীয় উদ্যান-সহ বাঘ্র সংরক্ষিত এলাকায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে গিয়েছে বলে জানাচ্ছে রাজ্যের বন দফতর। ১৭ মার্চ থেকেই এই সহ এলাকায় সাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
তা সত্ত্বেও, আমেরিকার ঘটনা নতুন করে সতর্ক করে তুলেছে রাজ্যকে। পশু-পাখিদের সুরক্ষার জন্যে বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন করে বেশ কিছু নির্দেশ দিয়েছেন চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষকে। সোমবার আলিপুরে তিনি একটি বৈঠকও করেন এ বিষয়ে।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এ বার চিড়িয়াখানার বাঘ
পশু-পাখিদের নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে খাবার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যাঁরা এই কাজে যুক্ত তাঁদের এবং পশু চিকিৎসকদের পারসোনাল প্রকেটশন ইকুপমেন্ট (পিপিই) কিট ব্যবহার করতে বলা হয়েছে, যাতে কোনও ভাবেই পশু-পাখিরা সংক্রমিত না হয়। চিড়িয়াখানার কর্মীরা যেখানে থাকেন, সেখানে জীবাণুনাশক স্প্রে দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে কোনও রকম শিথিলতা যাতে না আসে সে দিকে কড়া নজর রাখতে বলা হয়েছে কর্তৃপক্ষকে।
পরিস্থিতি এবং সতর্কতা প্রসঙ্গে বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “১৭ মার্চ থেকেই আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছি। এখানে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে আমরা সব দিকেই নজর রাখছি। একটা বিষয় সকলের জানা দরকার যে— মানুষের থেকে ভাইরাসটি পশুদের মধ্যে ছড়ায়। পশুদের থেকে মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস ছড়ায় না। আগেই চিড়িয়াখানা, জঙ্গলে পর্যটকদের ঢোকা নিষেধ হয়ে গিয়েছে। তার পরেও বনকর্মীদের বিশেষ নজরদারির করতে বলা হয়েছে।”
আরও পড়ুন: ২১ দিনের লকডাউন এর পর আরও ২৮ দিন! হু-র এই বিজ্ঞপ্তি কি সঠিক?
এ দিকে নিউইয়র্কের ব্রনক্স চিড়িয়াখানায় বাঘের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ার পর, কেন্দ্র পশুদের চিকিত্সা সংক্রান্ত কিছু নির্দেশিকাও দিয়েছে। জরুরি পরিস্থিতিতে পশুদের চিকিৎসা প্রয়োজন পড়তে পারে, সে কারণে তৈরি রাখতে বলা হয়েছে পরিকাঠামো। জঙ্গলের আশপাশে যে সব গ্রাম রয়েছে, সে দিকেও বিশেষ নজর রাখতে বলা হয়েছে। বন, জাতীয় উদ্যান, বাঘ্র সংরক্ষিত এলাকাগুলিতে মানুষের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলতে হবে।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)